ফেরার ম্যাচে তামিমের বাজে শুরু
বিশ্বকাপে ছন্দহীন থাকার পর শ্রীলঙ্কা সফরেও রান পাননি তামিম ইকবাল। এরপর চলে যান লম্বা বিশ্রামে। খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট আর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট থেকে নিজেকে পুরোপুরি দূরে সরিয়ে চাঙা হয়েই ফেরার লড়াইয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় লিগে নেমে শুরুটাও ভুলে যাওয়ার মতোই হয়েছে তার।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে নেমে চট্টগ্রামের তামিম ধুঁকে ধুঁকে ১০৫ বলে ৩০ রান করে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন। চার মেরেছেন ৩টি।
বৃহস্পতিবার লাঞ্চের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৪০.৪ ওভারে ১১৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। অফ স্পিনে সবকটি উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
মেঘলা সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মুমিনুল হক। তরুণ সাদিকুর রহমানকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে গিয়ে শুরু থেকেই কুঁকড়ে ছিলেন তামিম। প্রতিপক্ষের ভাণ্ডারে মানসম্মত পেস বোলার বলতে কেবল শহিদুল ইসলাম। তিনিই তামিমকে ভুগিয়েছেন বেশি। বেশ ভালো বাউন্স আদায় করেছেন, মুভমেন্ট আদায় করে বল ভেতরেও ঢুকিয়েছেন তিনি।
সে তুলনায় আরেক পেসার মেহরাব জোসি ছিলেন সাদামাটা। ব্যাটসম্যানদের ধন্দে ফেলার মতো কোনো বল করতে পারেননি। কিন্তু অতি সাবধানী হয়ে খেলতে থাকা তামিম তাকেও মারতে যাননি। বরং কিছুটা চনমনে ছিলেন সাদিকুর। হাত খুলে মেরে ফিফটিও করে ফেলেন তিনি। ৬৯ বলে ৫১ রান করে অবশ্য মাহমুদউল্লাহর বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরত যান।
তামিম ফেরেন লাঞ্চের পরপরই। ২৩ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়ে আর ৭ রান যোগ করতে পারেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর বলে পুলের মতো শট খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিধা নিয়ে খেলায় টাইমিংয়ে হয়েছে গড়বড়। তাই বোলারের হাতেই জমা পড়ে সহজ ক্যাচ। চারে নেমে অধিনায়ক মুমিনুল দুই চারে শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর হুট করে লাফনো বলে পয়েন্টে উঠে যায় তার সহজ ক্যাচ।
বিশ্রামে যাওয়ার পর তামিম ছিলেন ক্রিকেটের একদম বাইরে। নিজে নিজে খেটেছেন ফিটনেস নিয়ে। অনুশীলনে ফেরার পরও ছিলেন ভীষণ সিরিয়াস। জাতীয় লিগ নিয়ে আলাদা করে প্রস্তুত হয়েছেন তিনি। তবে আপাতত শুরুটা একেবারেই মনমতো হয়নি তার।
Comments