জুয়া খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে তাস দিয়ে জুয়া খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে কেরামত হাওলাদারেকে হত্যা মামলায় দোষী সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
gavel
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে তাস দিয়ে জুয়া খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে কেরামত হাওলাদারেকে হত্যা মামলায় দোষী সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাকিম মো. সেলিম মিয়া।

আদালত জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এবং প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে পাঁচজন আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে এবং পলাতক দুই আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের সিংগারডাক গ্রামের তোফা মোল্লা (২৬), পলাশ ফকির (৩২) ও সিদ্দিক খালাসী (৩৬), চান্দ্রা ইউনিয়নের চান্দ্রা গ্রামের এরশাদ মাতুব্বর (৩২), নাইম মাতুব্বর (৩৫) ও আনোয়ার মোল্লা (২৮) এবং সদরপুর উপজেলার চর মানাই ইউনিয়নের আমির খার কান্দি গ্রামের সিরাজুল খা (২৭)।

এর মধ্যে সিরাজুল খাঁ ও নাইম মাতুব্বর পলাতক রয়েছেন।

আদালতের নথি থেকে জানা যায়, কেরামত হাওলাদার ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের উত্তর লোহারদিয়া গ্রামর মৃত সামছু হাওলাদারের ছেলে। তিনি পিকআপ চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে অনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে  চান্দ্রা ইউনিয়নের ছলিলদিয়া গ্রামের দীঘলকান্দা বিলের মধ্যে জনৈক আক্কাস মল্লিকের পুকুরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সেদিনই মৃতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, “এ হত্যা মামলার সাতজন আসামির মধ্যে সাতজনকেই সর্বোচ্চ দণ্ড হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এর ফলে দেশে আইনে শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।”

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশিদ বলেন, “এ রায়ের ব্যাপারে আসামিপক্ষ উচ্চতর আদালতে আপিল করবে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago