পাঁচ মিনিটের আলোচনায় অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব পান পেইন
২০১৮ সালের মার্চে বল টেম্পারিংয়ের লজ্জাজনক ঘটনার পর নেতৃত্ব সঙ্কটে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কারণ দলটির টেস্ট অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার যুক্ত ছিলেন কেলেঙ্কারিতে। ফলে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টে কে নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল অসিরা। শেষমেশ অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় টিম পেইনের। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বেছে নেওয়া হলো তা জানা গিয়েছে ‘স্যান্ডপেপার গেট’ কেলেঙ্কারির প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে বল টেম্পারিংয়ের তিন হোতা স্মিথ, ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেশে। তাদের জায়গায় ডাক পেয়েছিলেন ম্যাট রেনশ, জো বার্নস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর অধিনায়ক নির্বাচন করতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নেয় অসি টিম ম্যানেজমেন্ট। সবার পছন্দে উঠে আসে পেইনের নাম। তবে তিনি নিজে এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর কাছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স দলনেতা বেছে নেওয়ার ঘটনাবলী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা মনস্থির করে ফেলেছিলাম। টিমের (পেইন) দিকে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণটা ছিল সহজ- আমরা ভেবেছিলাম সেই সঠিক ব্যক্তি আর তাকে আগেও সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে নজরে রাখা হয়েছিল। আমরা অন্যান্য প্রার্থীদেরকেও বিবেচনা করেছিলাম যারা এটা (অধিনায়কত্ব) করতে পারত, তবে কোনোরকম বিলম্ব না করে আমরা টিমকে বেছে নেই।’
‘এরপর আমরা সাজঘরে ফিরে যাই আর ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ওয়ার্নার ও স্মিথ সরে দাঁড়াচ্ছেন। আর আমি শুধু এটাই বলেছিলাম যে, “টিম, দুঃখিত বন্ধু, কোনো আগাম সংকেত দেওয়া হয়নি, তুমিই অধিনায়ক”।’
পেইন নেতৃত্ব পাওয়ার পর তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া কেমন খেলবে তা নিয়ে শুরুর দিকে বেশ শঙ্কা দেখা গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিণত হতে শুরু করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে গেল সেপ্টেম্বরে সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে অসিরা। দীর্ঘ ১৮ বছর পর ইংলিশদের মাটিতে অ্যাশেজ ধরে রেখে দেশে ফিরেছে তারা।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনাটি ‘স্যান্ডপেপার গেট’ নামেই পরিচিত। শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে বল বিকৃতি করার দায়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। ব্যানক্রফট পেয়েছিলেন নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। শাস্তির মেয়াদ শেষে সবাই আবার ফিরেছেন অসি জাতীয় দলে।
Comments