কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড কেমন?
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে এশিয়ার পরাশক্তি কাতারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায়।
২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। তারা এশিয়ার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলও। তাদের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচটা জেমি ডের শিষ্যদের জন্য ভীষণ কঠিন হতে যাচ্ছে, তা আর আলাদা করে বলে না দিলেও চলে।
বাছাইয়ের 'ই' গ্রুপে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে কাতার। দুই ম্যাচে তাদের অর্জন ৪ পয়েন্ট। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলে হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। আর আফগানরাই কাতারের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ৬-০ গোলে।
সবশেষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান বিস্তর। ৬২ নম্বরে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। তাদের চেয়ে ১২৫ ধাপ পেছনে ১৮৭তম অবস্থানে রয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
৪০ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে যাচ্ছে কাতার। ১৯৭৯ সালের ওই ম্যাচটা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য দারুণ এক সুখস্মৃতি। সেবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে কাতারকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।
পরের লেগে অবশ্য ঘরের মাঠে তেতে উঠেছিলেন কাতারের ফুটবলাররা। তারা ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল। এরপর আরও দুবার বাংলাদেশ ও কাতার একে অপরকে মোকাবেলা করেছে।
২০০৬ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রথম লেগে চট্টগ্রামে কাতারের কাছে ৪-১ গোলে হারের পর দোহায় ফিরতি লেগেও ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৩ বছর পর আবার দুদলের মধ্যে সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।
অতীত পরিসংখ্যান যা-ই হোক, আগের দিনের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কাতার ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক সুর ছিল বাংলাদেশ কোচ ডে ও দলনেতা জামালের কণ্ঠে।
ডে জানান, ‘আমার কথা হচ্ছে, ফুটবলে অনেক বিস্ময়কর ফল হয়। সবসময় ফল শক্তিশালী দলের পক্ষে যায় না। আমরা যদি খুব ভালো খেলি… কাতারকে হারাতে হলে সাম্প্রতিক সময়ে যেমন খেলেছি, তার চেয়েও ভালো খেলতে হবে। যদিও এটা খুব কঠিন।’
জামাল বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, কাতারের এই দলে দারুণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন, তারা বড় বড় লিগেও খেলেন। উঁচু পর্যায়ের ফুটবল খেলেন। তবে যদি আমরা শতভাগ দিয়ে খেলতে পারিন অবশ্যই আমাদের কিছু সুযোগ থাকবে।’
Comments