অর্থ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই

bfdc-1_0.jpg
করোনাকালে এফডিসি ফাঁকা। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিএফডিসি এখন সরগরম। ২০১৯-২১ মেয়াদি এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই বিতর্ক বাড়ছে শিল্পী সমিতির গত মেয়াদের কমিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে।

২০১৭ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছর সমিতির আয়-ব্যয়ের যে হিসাব, সেখানেও রয়েছে নানান ঝামেলা- এমন অভিযোগ করেছেন কমিটির কয়েকজন সদস্য।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “কোনোকিছু নিয়ে কাউকে মুখ খুলতে দেন না সভাপতি ও সেক্রেটারি। কোনো প্রসঙ্গ এলেই নানা টালবাহানায় তা এড়িয়ে যান।”

“শিল্পী সমিতিকে জায়েদ খান নিজের ব্যক্তিগত কাজেই মূলত ব্যবহার করছেন” বলেও মন্তব্য করেন ফেরদৌস।

গত ৪ অক্টোবর বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে দুই বছরের সভা একসঙ্গে আয়োজন করা হয়। সেই সভা নিয়েও ওঠে বিতর্ক। সেখানে দুই বছরের আয়-ব্যয়সহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নানা কার্যক্রম তুলে ধরা হলেও সে আয়-ব্যয় নিয়ে কমিটির গত মেয়াদের সহ-সভাপতি অভিনেতা রিয়াজকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

জায়েদ খানের অভিযোগ, “নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। সেই টাকা থেকে আর্থিক অসচ্ছল শিল্পীদের কল্যাণ তহবিলের জন্য আট লাখ টাকা রেখেছিলাম। সেখানে যেতে বিনা পারিশ্রমিকে কেউ রাজি হয়নি। সেখানে থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছেন কমিটির সদস্য ফেরদৌস, পপি ও সহ-সভাপতি রিয়াজ। তারা প্রত্যেকেই কল্যাণ ফান্ড গঠনের আয়োজন থেকেও ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন।”

এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন কথা বলে রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপির সঙ্গে। তাদের দাবি- জায়েদ খান মিথ্যাচার করছেন। অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পোশাক বানানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিলো। তারা কেউ পারিশ্রমিক নেননি।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বাড়ছে বিতর্ক। সব মিলিয়ে বিতর্ক নিয়েই আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আসবে নতুন নেতৃত্ব।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago