সাইফের সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ‘এ’ দল

সাইফ হাসান আর নাঈম শেখ এনেছিলেন দুর্দান্ত শুরু। ফিফটি করা নাঈমের আউট নিয়ে উত্তাপ তৈরি হলে কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল খেলাও। পরে সাইফ দারুণ সেঞ্চুরি করে দলকে পাইয়ে দেন বড় পূঁজি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লঙ্কানদের ধসিয়ে পেসার ইবাদত হোসেন নেন জোড়া উইকেট, ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ঝলক দেখান সাইফ। আলোক স্বল্পতায় ডি/এল মেথডে বাংলাদেশ ‘এ’ জিতেছে অনায়াসে।

সাইফ হাসান আর নাঈম শেখ এনেছিলেন দুর্দান্ত শুরু। ফিফটি করা নাঈমের আউট নিয়ে উত্তাপ তৈরি হলে কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল খেলাও। পরে সাইফ দারুণ সেঞ্চুরি করে দলকে পাইয়ে দেন বড় পূঁজি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে  লঙ্কানদের ধসিয়ে পেসার ইবাদত হোসেন নেন জোড়া উইকেট, ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ঝলক দেখান সাইফ। আলোক স্বল্পতায় ডি/এল মেথডে বাংলাদেশ ‘এ’ জিতেছে অনায়াসে।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সাইফ-নাঈমের ব্যাটে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ২৪.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল ৬ উইকেটে ১৩০ রান তুলার পর আলোক স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। আর খেলা শুরু না হলে ডি/ল মেথডে বাংলাদেশ জেতে ৯৮ রানে।

এতে তিন ম্যাচের সিরিজে মোহাম্মদ মিঠুনের দল জিতল ২-১ ব্যবধানে।

সকালে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে ভালোই হয় বাংলাদেশের। দুই ওপেনার ছিলেন ছন্দে, সেই ছন্দ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ধরে রাখেন তারা। দুজনের ১২০ রানের জুটি ভাঙে নাঈমের অপ্রত্যাশিত আউটে। ২৩তম ওভারে রান আউটের করতে থ্রো করেছিল শ্রীলঙ্কান ফিল্ডাররা। বল এসে লাগে নাঈমের পিঠে। এতে  লঙ্কানদের ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ। বাদুনাবাদে খেলা বন্ধ থাকে কয়েকমিনিট। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই মেনে খেলা চালতে হয়। নাঈমের আউটের পর দ্রুত ফিরে যান পুরো সিরিজে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে নেমে এনামুল হক বিজয় পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। হুট করে দিশা হারনো দল থই খুঁজে পায় অধিনায়ক মিঠুন-সাইফের জুটিতে। ৯৯ রানের জুটির ভাঙে সাইফের বিদায়ে।

১১০ বলে ১২ চার, ৩ ছক্কায় ১১৭ রান করে আউট হন সাইফ। মিঠুন ফেরেন ৩৫ বলে ৩২ করে। স্লগ ওভারে নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে ১৭ আর সানজামুল ইসলাম ৭ বলে ১২ করলে বড় পূঁজি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

৩২৩ রানের লক্ষ্যে নামা লঙ্কানদের প্রথম ধাক্কা দেন আফিফ হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা এই অফ স্পিনার পাথুম নিসানকাকে ফেরান নিজের পঞ্চম বলেই। আরেক ওপেনার সান্দুম ঋকডিকে বোল্ড করে উল্লাসে মাতেন আবু হায়দার।

রানের মধ্যে থাকা অধিনায়ক আসেন প্রিয়ঞ্জন আর প্রিয়মল পেরেরার ভীষণ গুরুত্বপুর্ন উইকেট দুটি নিয়ে দলকে সবচেয়ে বড় স্বস্তি পাইয়ে দেন সাইফ। কেবল কামিন্দু মেন্ডিসই ছিলেন অস্বস্তির কারণ। ইবাদত এসে তাকে বানান সাইফের ক্যাচে। তার আগে তুলে নেন আসেন বান্দারাকেও।

হারার পথে চলে যাওয়া শ্রীলঙ্কানরা ছিল মিরাকলের আশায়। তবে আকাশ কালো হয়ে এলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। যাতে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে থাকায় জিতেছে অনায়াসে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago