নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শেষ করল যুবারা
সিরিজ জুড়ে ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন টানা চতুর্থ ফিফটি। রানের দেখা পেলেন পারভেজ হোসেন ইমন, শাহাদাত হোসেন ও অভিষেক দাস। তাতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পেল বড় সংগ্রহ। ব্যাটসম্যানদের সফলতার পর তোপ দাগলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিলেন ৫ উইকেট। ফলে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শেষ করল যুবারা।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রবিবার (১৩ অক্টোবর) বার্ট সাটক্লিফ ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৬ রান তোলে আকবর আলীর দল। জবাবে স্বাগতিকরা ৩৮ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৪৩ রানে। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে টানা জেতার পর গেল ওয়ানডেতে হেরেছিল যুবারা।
আগের ম্যাচের মতো এদিনও বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ ও পারভেজ। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৬ ওভারে ১২০ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন তারা। তানজিদ স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ৭১ রান করেন। মারেন ১১ চার ও ২ ছক্কা। সঙ্গী হারিয়ে পারভেজও টেকেননি বেশিক্ষণ। তিনি ৫৫ বলে ৮ চারে করেন ৪৮ রান।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক আকবর থিতু হতে পারেননি। তাদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নেন পাঁচে নামা শাহাদাত। ৬৯ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে ৪৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিনশো ছাড়িয়ে যায় অভিষেকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তিনি নয়ে নেমে ৩৬ বলে ৬ চারে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১২ রানে ২ উইকেট পান এফএফ লেলম্যান।
লক্ষ্য তাড়ায় কিউইদের শুরুটা হয় বাজে। ৪৯ রানের মধ্যে তারা হারায় ৩ উইকেট। সবকটি উইকেট নেন শরিফুল। এরপর নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার প্রতিরোধ গড়লেও কাউকেই বিপজ্জনক হতে দেয়নি যুবারা। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লেলম্যানকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। তিনি দলের পক্ষে ৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন।
৩৯ রান করা জেএম টাশকফকে আউট করেন অভিষেক। ৪৭ রান করে জেজে ম্যাকেঞ্জি শিকার হন রকিবুল হাসানের। ইনিংসের শেষদিকে এইচবি ডিকসন ও কেডিসি ক্লার্ককে সাজঘরে পাঠিয়ে সফরকারীদের দুর্দান্ত জয় এনে দেন শরিফুল। ৮.৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। ৫৫ রানে ২ উইকেট পান রকিবুল।
Comments