আমার ছেলে নির্দোষ, তাকে মুক্তি দিন: সম্রাটের মা

samrat_mother.jpg
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন চৌধুরী। ছবি: স্টার

ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন চৌধুরী বলেছেন, আমার ছেলে নির্দোষ। সে অনেক অসুস্থ। দয়া করে তাকে মুক্তি দিন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

আজ (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সম্রাটের জীবন রক্ষার্থে উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমময় ৮০ বছর বয়সী এই নারী বলেন, “১৯৯৯ সালে সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। তখন থেকেই সে আজ পর্যন্ত অসুস্থ শরীর নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সম্রাট আপনার কর্মী। আপনার সন্তানতুল্য। সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি, সম্রাটের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে তাকে মুক্ত করে দিন এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।”

সংবাদ সম্মেলনে সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন সম্রাটের বোন ফারহানা আক্তার চৌধুরী। এসময় সম্রাটের ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সম্রাটের মা বলেন, “গত ৬ অক্টোবর আমার সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সে স্থান থেকে কোনো প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই।”

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম সম্রাটকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলার সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ার সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সব ব্যাগ দেখা যায়নি।”

তাতে আরও বলা হয়, “আমাদের আরও আশঙ্কা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।”

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

3h ago