আমার ব্যর্থতা কোথায়: বুয়েট উপাচার্য

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গত সপ্তাহে আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন যে, তিনি মনে করেন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে তার কোনো ব্যর্থতা নেই।
prof_dr_saiful_islam-1.jpg
বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গত সপ্তাহে আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন যে, তিনি মনে করেন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে তার কোনো ব্যর্থতা নেই।

গত ১৩ অক্টোবর রাতে নিজ কার্যালয়ে বসে দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমার ব্যর্থতা কোথায়? আমি আমার অবস্থান থেকে পরিস্থিতি সামলানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”

এর আগে, বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ৬ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত কয়েকদফা পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।

এই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উপাচার্যের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষার্থীরা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়।

এছাড়াও, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও ক্যাম্পাসে ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ’ হওয়ায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করা হয়।

আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধারের পরও ক্যাম্পাসে আসেননি বুয়েট উপাচার্য। শোকসন্তপ্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দেখা করেননি। বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত আবরারের জানাজাতেও অংশ নেননি। অবশেষে ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

আড়াই ঘণ্টার সাক্ষাতকারে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম (যিনি ২০১৬ সালের ২৩ জুন উপাচার্য নিযুক্ত হন) গত ৭ অক্টোবর রাত ৩টায় আবরারের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেসবেরই সাফাই গেয়েছেন।

তিনি জানান যে, তিনি প্রশাসনের শীর্ষে থেকে ঘটনাটি তদারকি করছিলেন, পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। সেদিন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পরামর্শে তিনি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিলেন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার অফিসেই ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”

হত্যাকাণ্ডের পরপরই কেনো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে এই কেমব্রিজ শিক্ষিত প্রকৌশলী বলেন, “পরিস্থিতি ছিলো অস্বাভাবিক, শিক্ষার্থীরা ছিলো ক্ষুব্ধ। আমি সেখানে গেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাকে জিম্মি করে রাখা হতো।”

“তখন আমি আর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারতাম না, কিন্তু যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়াটাই সেসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো”, বলেন তিনি।

অধ্যাপক সাইফুল জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিষদ (ডিএসডব্লিউ) পরিচালকের।

“এটিই পরিচালকের প্রধান কর্তব্য। তিনি উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা নেবেন। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখারও কথা রয়েছে তার”, বলেন তিনি।

আবরারকে হত্যার পর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বর্ণনা দিয়ে অধ্যাপক সাইফুল জানান, ৭ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে তিনি ফোন পান। তারপর তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারী এবং প্রকল্প কর্মকর্তাকে জাগিয়ে তুলে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

তিনি জানান, এরপর থেকে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতে বলেন এবং এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিষয়টি তখন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত চলে যায় বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

উপাচার্য জানান, শেরে বাংলা হল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে সেটির আরও কপি করার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তবে এ কাজে পুরো দিন পার হয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে তিনি একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন।

বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠান পরিচালক এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেটি তখন থেকেই কাজ শুরু করে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকেও পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিলো। দুর্গাপূজার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ কাজ উপাচার্যকে একাই করতে হয়েছিলো।

ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আবরারের চাচা এক আত্মীয়কে নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের সান্ত্বনা দিয়ে কুষ্টিয়ায় আবরারকে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যেতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসও তাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিলো বলে জানান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

আবরারের জানাজায় কেনো অংশ নেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য জানান, বিষয়টি কেউ তাকে অবহিত করেনি।

তিনি বলেন, “এমনকি কেউ আমাকে বলেনি যে, আবরারের বাবা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। জানলে আমি তার সঙ্গে দেখা করতাম এবং জানাজায় অংশ নিতাম।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে র‌্যাগিং বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, এমন পরিস্থিতির জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালককে দোষারোপ করেন তিনি।

উপাচার্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “এটির (র‌্যাগিং) দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি যোগদানের (উপাচার্য হিসেবে) আগেই এটি ফিরে এসেছিলো।”

তিনি জানান, ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অত্যধিক কাজের চাপ এবং ‘স্বাস্থ্যগত কারণ’ দেখিয়ে তিনি অবসরে গেছেন।

পরবর্তীতে অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হলে, তিনিও হলগুলোতে র‌্যাগিং থামাতে পারেননি। অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার ‘সম্ভবত তিনি অত্যধিক নমনীয় ছিলেন’ বলে এই চর্চা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পর্যালোচনা কমিটির সভায় র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। কিছু অভিভাবকও র‌্যাগিং সম্পর্কে তাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।

“সেসময় সভায় অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার উপস্থিত না থাকায়, আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করে এসব বিষয়ের ব্যাপারে জানতে চাই। আমি তার কাছে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি উচ্চস্বরে জবাব দিয়ে বলেন যে- এসবের কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। তখন আমার সত্যি সত্যিই খারাপ লেগেছিলো”, বলেন তিনি।

অপর এক সভায় অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার উপাচার্যকে জানান যে, তিনি আর ওই পদে থাকতে পারবেন না।

পরবর্তীতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক পদে অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়াকে নিয়োগ দেন উপাচার্য। তবে ছাত্রলীগের তীব্র বিরোধিতার কারণে অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়াকেও অবিলম্বে পদ ছাড়তে হয় বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক কাশেমের স্থলাভিষিক্ত হন অধ্যাপক মিজানুর রহমান। প্রথমদিকে তিনি কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং কিছু অপরাধী শিক্ষার্থীকে শাস্তিও দিয়েছিলেন।

“কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর আমি দেখতে পেলাম যে- অধ্যাপক মিজানও নেতাদের (ছাত্রলীগ) নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না” উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, “আমি এখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এসব বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালকের।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে, ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক তার কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, “এটি ডাহা মিথ্যা। তিনি যদি আমাকে সার্বক্ষণিক না-ই পেতেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের দিন ভোররাত ৩টায় তিনি কী করে আমাকে ফোনে পেয়েছিলেন।”

ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক ভবিষ্যতেও তার কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন পাবেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “আমার দরজা তার জন্য সবসময় খোলা।”

অধ্যাপক সাইফুল জানান, দৃঢ় ব্যক্তিত্বের জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষককেই ছাত্রকল্যাণ পরিষদ পরিচালক পদে থাকা উচিত, যাতে শিক্ষার্থী, প্রাধ্যক্ষ এবং সহকারী প্রাধ্যক্ষরা তার আদেশ মেনে চলেন।

“এতোদিন আমরা এই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করে এসেছি”, বলেন তিনি।

প্রচুর বিদেশ গমনের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই তিনি বিদেশে গিয়েছেন। দুটি অনুষ্ঠানে নিজের গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও নেইনি। আমি আমন্ত্রিত ছিলাম এবং আমন্ত্রণকারীরাই আমার সব খরচ বহন করেছে।”

তিনি জানান যে, গবেষণা সহযোগিতা, অনুষদ সদস্য ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী বিনিময়ের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার সঙ্গে তিনি ৬৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।

উপাচার্য বলেন, “এই অনুষদ সদস্যরা আমাদের জন্য ইতিবাচক ফল আনতে শুরু করেছেন।”

তার কাছে পৌঁছানো মুশকিল, এমন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এটিও সত্য নয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। আমি তাদের সহায়তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “নয় বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে আমি ৭ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য সমাবর্তনের আয়োজন করেছিলাম। যোগাযোগের কোনো ব্যর্থতা থাকলে সেটি সম্ভব হতো না।”

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিতের জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে কোনো থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক যে- আমি বেনামি চিঠি ও মুঠোফোন বার্তার মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছি। উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর এসব ঘটেছে, যা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”

“আমি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসেই থাকি। আমার বিভিন্ন সভাতেও অংশ নেওয়া দরকার, যা আমার জন্য বাধ্যতামূলক”, বলেন তিনি।

প্রাতিষ্ঠানিক ফাইলপত্র ছাড়ের ক্ষেত্রে বিলম্বের জন্য তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, “আমি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি, তখন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফাইল জমা পড়ে ছিলো। সাবেক উপাচার্য বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকায় এবং আমার পদটি বেশ কয়েকমাস শূন্য থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। এসব ফাইল ছাড় করতে আমার প্রায় দেড় বছর সময় লেগে যায়। যার কারণে এসব ফাইল প্রক্রিয়াকরণে কিছুটা বিলম্ব হয়। এটিও আমার জন্য দুঃখের বিষয়।”

“আরেকটি বিষয় হলো- ফাইলের সবকিছু না পড়ে আমি সেগুলোতে সই করি না। বর্তমানে আমার হাতে কোনো ফাইলপত্র জমা নেই”, বলেন তিনি।

Comments