সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, তারা যা করার করবেন: মৌসুমী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা মৌসুমী। গত ২৬ বছর ধরে তিনি সদর্পে বিচরণ করছেন দেশের অভিনয় অঙ্গনে। বর্তমানে তিনি নতুন একটি সিনেমার শুটিং করছেন বিএফডিসিতে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Moushumi
চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা মৌসুমী। গত ২৬ বছর ধরে তিনি সদর্পে বিচরণ করছেন দেশের অভিনয় অঙ্গনে। বর্তমানে তিনি নতুন একটি সিনেমার শুটিং করছেন বিএফডিসিতে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন নিয়ে মৌসুমীর রয়েছে অন্যরকম ব্যস্ততা। সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন, নতুন সিনেমার কাজ এবং সম্প্রতি বিএফডিসিতে ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মৌসুমী দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএফডিসির মেকআপ রুমে বসে।

দ্য ডেইলি স্টার: প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির পদে নির্বাচন করছেন, কেমন লাগছে?

মৌসুমী: এক কথায় বলতে গেলে বলবো, ভালোই লাগছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগেও করেছি। কিন্তু, সভাপতি পদে কখনো করিনি। এবারই প্রথম। সেদিক থেকে ভালো লাগা আছে, ভালোবাসাটাও আছে।

ডেইলি স্টার: শিল্পীদের কাছে ভোট চাচ্ছেন, কতোটা সাড়া পাচ্ছেন?

মৌসুমী: দেখুন, ২৫ বছর কাটিয়ে দিলাম চলচ্চিত্র জগতে। এখন ২৬ বছরে পা রাখছি। আজকের আমি কিন্তু চলচ্চিত্র জগতেরই তৈরি। এখানেই আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটালাম। আপনজন তো এরাই। কাজেই আমি যখন প্রথমবার সভাপতি পদে নির্বাচন করছি, সব শিল্পীদের কাছে ভোট চাচ্ছি, তারা তা ভালোভাবেই নিচ্ছেন। তারা আমাকে দোয়া করছেন। সাহস দিচ্ছেন। যারা ভোটার না, তারাও আমার জন্য দোয়া করছেন। সবদিক থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

ডেইলি স্টার: কেউ কেউ বলছেন- আপনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। এটি কতোটুকু সত্য?

মৌসুমী: এটি মোটেও সত্য নয়। আপনার সামনেই কিন্তু আমি ফোনে ভোট চাইলাম। শুটিং করছি আবার ভোটও চাচ্ছি। কে বা কারা এই গুজব ছড়িয়েছেন তা আমি জানি না। আমি নির্বাচন করছি এবং শেষ নাগাদ আমি থাকব।

ডেইলি স্টার: আপনার কি মনে হয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে?

মৌসুমী: এখনই তা বলতে পারছি না। আমি আশাবাদী। দেখি কী হয়। সবার চাওয়া কিন্তু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এখনই নেতিবাচক কিছু বলবো না। আমাদের প্রিয় শিল্পী, সিনিয়র শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি। আমরা শিল্পী, সবাই যেনো সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারি এটুকু চাইবো।

ডেইলি স্টার: যদি আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতি হোন, কী কী করবেন শিল্পীদের জন্য?

মৌসুমী: আমার নিজস্ব কিছু এজেন্ডা রয়েছে। আমি একজন শিল্পী। শিল্পীদের পাশে সারাজীবন থেকেছি। শিল্পীদের জন্য ভালো কিছু করবো। শিল্পীদের অধিকার নিশ্চিত করবো। তবে, সব কাজ নিয়ে এখনই বলতে চাই না। কারণ, তাহলে অন্যরা সেটি লুফে নেবে। এটুকু বলতে চাই- শিল্পীদের পাশে থাকবো, শিল্পীদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবো।

ডেইলি স্টার: শুরুতে আপনার সঙ্গে অনেকেই নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। তারা হঠাৎ সরে গেলেন- এটা নিয়ে কী বলবেন?

মৌসুমী: এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলবো না। যারা আমাকে সাহস করে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দিলেন, তারা সরে গেলেন, এজন্য দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু, হতাশ হইনি। তবে, আমি ঘোষণা দিয়েছি- আমি আছি নির্বাচন করার জন্য। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা জরুরি।

ডেইলি স্টার: সম্প্রতি শিল্পী সমিতির অফিসে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে, এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ করবেন?

মৌসুমী: না, না। যা ঘটেছে তা তো এরই মধ্যে আপনাদের কারণে সবাই জেনে গেছেন। নতুন করে কিছু বলতে চাই না। এটুকু বলতে পারি- চলচ্চিত্র শিল্পে অনেক সিনিয়ররা রয়েছেন, শ্রদ্ধাভাজনরা রয়েছেন, আমি তাদের কাছে বলবো। সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, তারা যা করার করবেন। তারা যা করবেন তাই মেনে নেবো আমি। এটি তো একটি পরিবারের বিষয়। চলচ্চিত্র হচ্ছে সেই পরিবার। আমার চলচ্চিত্র পরিবার যা করার তা করবে। আরেকটু বলি, শিল্পীদের নিরাপত্তাটাও এখানে দরকার।

ডেইলি স্টার: বিএফডিসিতে নতুন কোনো সিনেমার শুটিং করছেন?

মৌসুমী: আমি ‘অর্জন ৭১’ নামের একটি সিনেমা করছি। এটি মূলত মুক্তিযুদ্ধের গল্পের একটি সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা আগেও করেছি। এখানে আমার চরিত্রের নাম ফিরোজা। সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের বউ আমি। আমার স্বামী ৭১ সালে শহীদ হন। সব মিলিয়ে অভিনয় করার মতো একটি চরিত্র পেয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now