‘কয়েদী জীবনে’ হাঁপিয়ে উঠেছেন সাইফুদ্দিন

Mohammad Saifuddin
ফাইল ছবি: বিসিবি

বিশ্বকাপেই জটিল এক ইনজুরি বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে সে কারণে পাওয়াও যায়নি তাকে। এই চোট থেকে রেহাই মেলেনি এখনো। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে পারলেও বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে নামার অবস্থা নেই, তাই জাতীয় লিগে নামা হচ্ছে না। এমনকি অনিশ্চিত তার ভারত সফরও। খেলার বাইরের এই সময়কে বন্দি জীবনের যন্ত্রণার সঙ্গে তুলনা করেছেন এই পেস অলরাউন্ডার।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড। তাতেও না থাকা এই পেসার বুধবার মিরপুরে এসেছিলেন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে।

পীঠের ব্যথা হুট করেই বেড়ে যায় ছোট পরিসরে বাংলাদেশের অন্যতম বোলিং ভরসা হয়ে উঠা এই তরুনের। এই সমাধানে অস্ত্রোপচার নাকি অন্য কিছু। এখন ঠিক করা হয়নি। মঙ্গলবার স্ক্যান করে দেখা হয়েছে হালনাগাদ। এবার টিম ম্যানেজমেন্টের তাকে নিয়ে বসে চূড়ান্ত করবে বাকিটা।

কিন্তু তার আগে একটা যন্ত্রণা বিদ্ধ সময় যাচ্ছে সাইফের। কণ্ঠে যেন মাঠে নামার তীব্র আকুতি, ‘মন তো চায় কাল থেকেই মাঠে নামি। কিছুটা জেল খানার কয়েদীদের মতো (লাগছে)। দেখছি, কিন্তু খেলতে পারছি না। এটা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বিরক্তিকর। দুই-এক সপ্তাহ হলে ঠিক আছে, কিন্তু এক মাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় সব ক্রিকেটারের জন্যই খারাপ লাগা কাজ করে। এটা জীবনে অংশ, খেলতে গেলে ইনজুরির হবে। একটা লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এটাই মানিয়ে নিয়ে চলছি।’

খেলায় নেই, অনুশীলনেও না। সময়টা অবশ্য ক্রিকেটের বাইরে কাটছে না। বিশ্রামের সময়ও ভাবছেন বোলিংয়ের নতুন কোন কৌশল নিয়ে, ‘আমি হয়তো খেলছি না। কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা সবকিছু বোলিংকে ঘিরে। কীভাবে বোলিংটা করব। আমি যখন পুরনো কোনো ম্যাচ দেখি তখন আমি অনুধাবন করি আমি থাকলে কি করতাম। আমি ম্যাচ খেলছি না, কিন্তু আমার মন, ফোকাস সব কিছু বোলিংকে ঘিরে। বসে থাকলেও বল একটা হাতে নিয়ে চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। কারণ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে নতুন কিছুর বিকল্প নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

India, Pakistan agree to ceasefire

Announces Trump after rivals launch multiple attacks on key military installations; Islamabad, New Delhi confirm truce

4h ago