বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে

poverty
পুরনো ছবি

বাংলাদেশ বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০১৯ এর সূচকে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ৮ স্কোর পেয়ে ১১৭টি দেশের মধ্যে ৮৮তম স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুটি দেশ পাকিস্তান ২৮ দশমিক ৫ স্কোর পেয়ে ৯৪তম এবং ভারত ৩০ দশমিক ৩ স্কোর পেয়ে ১০২তম স্থানে রয়েছে।

ওয়েবসাইটে পাওয়া জিএইচআই রিপোর্ট ২০১৯ এ উল্লেখিত তথ্যে এ খবর জানা যায়।

জিএইচআই বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ওপর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সূচকের ১১৭তম অবস্থানে রয়েছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। দেশটিতে খাদ্য সমস্যা প্রকট। সূচক নির্ধারণের জন্য চারটি বিষয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো: অপুষ্টি, চাইল্ড স্টান্টিং, চাইল্ড ওয়েস্টিং এবং চাইল্ড মর্টালিটি।

সারাবিশ্বে ক্ষুধা কমিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছর কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড এবং ওয়েলথহাঙ্গারহিল যৌথভাবে জিএইচআই রিপোর্ট প্রকাশ করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের জিএইচআই ইনডিকেটর ভ্যালু দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জন্য ইনডিকেটর ভ্যালুতে প্রভাব ফেলে। ভারতের শিশু ওয়েস্টের হার ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। শিশু স্টান্টিং হার ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের জনস্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে এটি খুবই বেশি।

শিশু পুষ্টিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বাইরে দুটি দেশ বেশ এগিয়ে রয়েছে এবং তাদের অভিজ্ঞতা উৎসাহব্যঞ্জক। ২০১৫ সালের জরিপে বাংলাদেশে স্টান্টিং কমার পেছনের কারণ সনাক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এ সময়ে জাতীয় পর্যায়ে ১৯৯৭ সালে ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে ৪০ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে পরিবার-ভিত্তিক সম্পদ বেড়েছে। মৃত্যু হার কমার পেছনে স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং জনসংখ্যা ভূমিকা রেখেছে।

নেপালে শিশু স্টান্টিং এ উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ সালের ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ২০১১ সালে ৪০ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসছে।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০১৯ এ দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার কমেছে।

Comments

The Daily Star  | English
A freedom fighter’s journey to Mujibnagar

Who is a freedom fighter

The government's move to redefine freedom fighters has been at the centre of discussion

13m ago