অবশেষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব হারালেন সরফরাজ
সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্ব নিয়ে গেল কয়েক মাস ধরে সমালোচনা কম হচ্ছিল না। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ চলাকালে তির্যক বাক্যবাণের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানের দলনেতা। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে দলটির অনেক সাবেক তারকাই তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেশের মাটিতে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সমালোচনার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
তাতে ধারণা করা হচ্ছিল, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে সরফরাজের জন্য। অবশেষে সত্যি হয়েছে গুঞ্জন। পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সরফরাজকে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেস্ট দলের নতুন নেতা আজহার আলি। আর টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। অধিনায়কের পদ হারানোর পাশাপাশি এই দুই ফরম্যাটের পাকিস্তান দলেও জায়গা পাচ্ছেন না সরফরাজ।
৩২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গেল কয়েকটি সিরিজে সরফরাজের পারফরম্যান্সের সামগ্রিক অবনতি ঘটেছে। এতে তার আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরেছে। ফলে তার পরিবর্তে নতুন নেতা বেছে নিয়েছে পিসিবি। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য কোনো অধিনায়কের নাম এখনও ঘোষণা করেনি তারা। আগামী বছর জুলাইয়ের আগে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই। সেকারণে এই ফরম্যাটের দলনেতা নির্বাচন করতে আরও সময় নেবে দেশটির বোর্ড।
অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি বলেছেন, ‘সরফরাজকে বাদ দেওয়াটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। সে খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে দারুণ পারফর্ম করেছে। কিন্তু তার ফর্ম ও আত্মবিশ্বাস যে হারিয়ে গেছে, সেটা স্পষ্ট। তাই দলের স্বার্থে তাকে বাইরে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা অবস্থায় সে যেন বিষয়গুলো অনুধাবন করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে এবং ফর্মে ফেরার চেষ্টা করে, সেজন্য তাকে সহায়তা করা হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের আগামী সফরে টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক থাকবেন আজহার। পাশাপাশি ২০১৯-২০ মৌসুমের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বাবরও অসিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ওপর আস্থা রাখবে পাকিস্তান বোর্ড।
Comments