ভালো গল্প হলে দর্শকরা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে যান: পূর্ণিমা

purnima-1.jpg
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

পূর্ণিমা ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সিনেমার পাশাপাশি উপস্থাপনা করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশেষ বিশেষ সময়ে নাটকেও দেখা যায় তাকে। এখন নতুন দুটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। সেসব নিয়ে পূর্ণিমা কথা বলেছেন ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: নতুন দুটি সিনেমা করছেন, কাজ কতদূর হয়েছে?

পূর্ণিমা: দুটি সিনেমারই শুটিং চলছে। একটি সিনেমার নাম জ্যাম। আরেকটি সিনেমার নাম গাঙচিল। পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালনা করছেন দুটি সিনেমা। বেশিরভাগ কাজই শেষ হয়েছে। বাকি শুটিং নভেম্বর মাস থেকে শুরু হবে।

দ্য ডেইলি স্টার: জ্যাম সিনেমাটির প্রযোজক তো প্রয়াত নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না, জ্যাম এর চরিত্রটি নিয়ে বলা যাবে?

পূর্ণিমা: আপাতত জ্যাম এর চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। একটু চমক থাকুক। এটুকু বলবো, দর্শকরা নতুন কিছু পাবেন। মান্না ভাইয়ের বিপরীতে আমিও অভিনয় করেছি। তার স্ত্রী শেলী ভাবী এই সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন। সুন্দরভাবে কাজটি শেষ হোক এই প্রত্যাশা করছি। তারপর মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকরা গল্পটুকু জেনে নেবেন।

দ্য ডেইলি স্টার: গাঙচিল সিনেমার চরিত্রের ব্যাপারেও কি কিছু বলতে মানা?

পূর্ণিমা: না না। গাঙচিল সিনেমায় আমি অভিনয় করছি একজন এনজিওকর্মীর চরিত্রে। যে কী না একসময় উপকূলীয় এলাকায় চলে যায় সাহায্য করার জন্য। সেখানে একটি ঝড় হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করতে যায়। তারপর সেখানে পরিচয় ঘটে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে। সাংবাদিক চরিত্রটি করছেন ফেরদৌস।

দ্য ডেইলি স্টার: গতবছর তো গাঙচিল সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন?

পূর্ণিমা: ঠিক বলেছেন। মোটরবাইকের কিছু দৃশ্য ছিলো। আমি ও ফেরদৌস মোটরবাইকে করে এক জায়গায় যাবো। ওই দৃশ্যগুলো করার সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হই। এরপর তো শুটিং বাদ দিয়ে ঢাকায় চলে আসতে হয়েছিলো। অবশ্য বেশ পরে শুটিং করেছি।

দ্য ডেইলি স্টার: ২০ বছরে ঢাকায় অসংখ্য সিনেমা করেছেন, প্রচুর হিট সিনেমাও রয়েছে আপনার, এখন কাজ কম করেন, সেজন্য কোনো আফসোস কাজ করে?

পূর্ণিমা: না। আমি এখনকার সময়টা নিয়েই আছি। তখন তো সিনেমাও বেশি হয়েছে। আমাদের পরে অনেক নতুনরা এসেছেন। দেখুন, মাঝে কিন্তু বেশ কিছুদিন সিনেমা করিনি। ভালো কিছুর অপেক্ষায় ছিলাম। সেটাই হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টার: টিভি নাটকে আপনার অসম্ভব রকমের ডিমান্ড, তারপরও কম নাটক করেন কেনো?

পূর্ণিমা: টিভি নাটক মূলত বিশেষ বিশেষ দিবসেই করা হয়। ঈদের সময়ে একটু বেশি করি। ধারাবাহিক তো তেমন একটা করা হয় না। শুধু জাহিদ হাসান পরিচালিত লাল নীল বেগুনি ধারাবাহিকটি দীর্ঘদিন করেছিলাম, সেটাও অনেক আগে। নাটক করতে চাই, তবে বেছে বেছে।

দ্য ডেইলি স্টার: এতো বছর ধরে সিনেমা করছেন, আসলে দর্শকরা ঠিক কী চায়?

পূর্ণিমা: দর্শকরা ভালো গল্প চান। ভালো গল্প হলে দর্শকরা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে যান। প্রথমত গল্প, তারপর অভিনয় ও মেকিং। যেসব সিনেমার গল্প স্ট্রং সেসব সিনেমা দেখতে এখনও দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেন।

দ্য ডেইলি স্টার: হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে উপস্থাপনায় নাম লেখান এবং উপস্থাপনায় এসেই সাড়া ফেলেন, কী করে সম্ভব হলো?

পূর্ণিমা: আসলে উপস্থাপনায় হঠাৎ করেই আসা। তারপর মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি। বিটিভির আনন্দমেলা উপস্থাপনা করেছি। আরও কিছু অনুষ্ঠান করেছি। আরটিভিতে একটি অনুষ্ঠান বেশ কিছুদিন উপস্থাপনা করে সবার প্রশংসা পেয়েছি। আবার কর্পোরেট লেবেলে কখনও কখনও উপস্থাপনা করি। ভালোই লাগে উপস্থাপনা করতে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Migrants in Malaysia: Worker faces deportation after speaking up

Nearly 200 workers then began a strike on Friday, he said, requesting not to be named for fear of backlash.

7h ago