প্রয়োজনে মোদিকেও সাহায্য করতে প্রস্তুত নোবেলজয়ী অভিজিৎ

Abhijit-Banerjee-Photo-1.jpg
নয়াদিল্লির গ্রীন পার্কে হিন্দুস্থান টাইমসকে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: হিন্দুস্থান টাইমস

অর্থনীতিতে এবছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি এসেছেন। শনিবার ভোরে দেশে ফিরেই বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার তার কাছে কোনো পরামর্শ চাইলে তিনি তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

নোবেল জয় দেশে মানুষকে গর্বিত করলেও অভিজিতের বেলায় তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি বিজেপি সরকার। আগে থেকেই অভিজিতের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন দলটির নেতৃবৃন্দ। আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে অভিজিতের নোবেল জয়ের খবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে অভিনন্দন জানালেও দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অনেকেই ক্ষোভের কথা চাপা রাখেননি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযুষ গয়াল গত শুক্রবারও অভিজিৎকে ‘বামপন্থী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “ভারতে তার তত্ত্ব অচল। দেশবাসী তার পরামর্শ গ্রহণ করেনি।”

এমনকি জাতিগতভাবে অভিজিতের ‘বাঙালি’ পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এতেও যেন তারা কিছুটা অস্বস্তিতে। মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইট করে বলেছেন, অনেক অযোগ্যরাও এর আগে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই মন্তব্যের সঙ্গে অবশ্য অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিনি। তার আগে বাংলায় টুইট করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অভিজিতের জন্ম কলকাতায় নাকি মহারাষ্ট্রে?

ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দিল্লিতে নেমেই স্মৃতিবিজড়িত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যান অভিজিৎ। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়ে চলা রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রসঙ্গ ওঠে। এড়িয়ে যাওয়ার বদলে হাসিমুখেই জবাব দেন অভিজিৎ। জানান, ‘ন্যূনতম আয় প্রকল্প’ নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কংগ্রেস। কোথায় কত বরাদ্দ করা যায়, তা তিনি জানিয়েছিলেন। তবে শুধু কংগ্রেস বলে নয়, বিজেপি এলে তাদেরও সব রকম ভাবে সাহায্য করতেন তিনি। কারণ নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শের চেয়ে দেশের উন্নতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

28m ago