চ্যাম্পিয়ন টিসিকে গুঁড়িয়ে শুরু চট্টগ্রাম আবাহনীর
গতি, পরিকল্পনা আর অপূর্ব সমন্বয়ের ছাপ দেখিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী খেলল সেরা ফুটবল। তাতে একদমই তাল মেলাতে পারেনি মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তাই গুঁড়িয়ে দিয়ে দাপুটে শুরু করেছে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের তৃতীয় আসরের শুরুর দিনটা গোলবন্যায় ভাসিয়েছে ঘরের দল। টিসি স্পোর্টসকে মারফুল হকের শিষ্যরা হারিয়েছে ৪-১ গোলে।
খেলার শুরু থেকেই তীব্র স্রোতের মত আক্রমণ শানাতে থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। চার মিনিটেই সুযোগ ছিল এগিয়ে যাওয়ার। বক্সের বাইরে থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে তীব্র গতির শট নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। টিসি স্পোর্টসের গোলরক্ষক ইব্রাহিম নাদিম অসাধারন দক্ষতায় তা বাঁচান।
৮ মিনিট পর আর তিনি পেরে উঠেননি। এবার বক্সের বা দিক থেকে আরিফুল দারুণ এক ক্যাটব্যাক পাঠান গোলরক্ষকের সামনে দাঁড়ানো চিনেদু ম্যাথিউর কাছে। ম্যাথিউর বল ধরেই জালে পাঠিয়ে মাতেন উৎসবে।
তিন মিনিট পর চোখ ধাঁধানো গোল করেন ইয়াসিন আরাফাত। বা দিক থেকে আক্রমণে উঠে ক্রস না পাঠিয়ে গোলরক্ষকের পজিশন বুঝে সরাসরি শূন্যে ভাসিয়ে দেন জালে। বিশ্বমানের গোলে মাতোয়ারা উঠে হয়ে উঠে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ভরপুর গ্যালারি।
৪০ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় গোলটিও আসে আরিফুল-ম্যাথিউর সমন্বয়ে। আবারও বা দিক থেকে কারিকুরি করে বক্সে ঢুকে যান আরিফুল। জটলার মধ্যে তার এসিস্ট থেকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন ম্যাথিউ।
বিরতির আগে এরপর আরও দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল জামাল ভূঁইয়ার দল। কোনক্রমে তা থেকে রক্ষা পেয়ে বিরতিতে যায় টিসি।
বিরতির পর ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় টিসি স্পোর্টস। কিন্তু তাদের ক্ষুরধার সব আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগ।
উলটো প্রতি আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করে চট্টলার দলটিই। তেমন এক আক্রমণ থেকেই আসে চার নম্বর গোল। গোলের উৎস সেই আরিফুলই। ৬৫ মিনিটে এবার ডান প্রান্ত থেকে বক্সে বাড়িয়েছিলেন ক্রস। টিসির গোলরক্ষক ইব্রাহিম আরিফুলের ভেসে আসা বল হাতে রাখতে না পেরে করেন দলের সর্বনাশ। কাছেই দাঁড়ানো রকভিচ লুকা টোকা মেরে জালে পাঠান। পরের মিনিটেই এই লুকা পেতে পারতেন আরেক গোল। কিন্তু তার বল যায় বারের সামাণ্য উপর দিয়ে।
ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিটও চাপিয়ে খেলতে থাকে চট্টগ্রাম। চার গোল খেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার ছাপ তখন টিসির খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অধিনায়ক জামাল কদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে দারুণ খেলেছিলেন, এদিন শুরুতে ছিলেন কিছুটা নিরব। বিরতির পর থেকে তার পায়ে দেখা গেছে ছন্দ। শেষ কয়েকমিনিটে মালদ্বীপের ক্লাবের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ান তিনি।
৮৮ মিনিটে অবশ্য এক গোল শোধ করে টিসি। ছোট্ট কর্নার থেকে হেডে সফরকারীদের হয়ে একমাত্র গোল করেন ইসমাইল ইশা।
Comments