ফেসবুকে উস্কানি: ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৪

ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিদ্বেষমূলক কথোপকথনের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জনরোষ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
Bhola hospital
২০ অক্টোবর ২০১৯, ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের অনেককে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: স্টার

ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিদ্বেষমূলক কথোপকথনের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জনরোষ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে স্থানীয় জনগণ, সাংবাদিক, প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে দ্য ডেইলি স্টার জানতে পারে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

যোগাযোগ করা হলে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার চারজনের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেন। তবে নিহতদের পরিচয় তখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত ১৮ অক্টোবর সেই কথোপকথনটি স্থানীয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেদিন বিকালে সেই ব্যক্তি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানায় যান এবং তার ফেসবুক আইডি হ্যাকড হতে পারে উল্লেখ করে সাধারণ ডায়রি করেন।

ভোলার পুলিশ সুপার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ফেসবুক হ্যাকিংয়ের অভিযোগে ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ফেসবুক হ্যাকিং সম্পর্কিত সব তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি।”

অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে রেখে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু, তারপরও একটি গোষ্ঠী বিষয়টি উস্কে দিতে থাকে।

বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম এহসানুল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, ১৯ অক্টোবর রাতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা স্থানীয় ইমাম ও ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে।

কিন্তু, আজ সকালে একদল ব্যক্তি মঞ্চ বানিয়ে সেখানে ১৭টি লাউডস্পিকার বসায়। তাদের একটি অংশ পরে সহিংস হয়ে উঠে।

খুব দ্রুত সেখানে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার লোক সমবেত হন। পুলিশ তাদেরকে শান্ত হতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কাছাকাছি একটি রুমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

তারা সেই রুমের দরজা আংশিকভাবে ভেঙে ফেললেও পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি। অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, “কারণ, আমরা বিছানার ম্যাট্রেস দিয়ে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। রুমে ঢুকতে পারলে তারা আমাকে, এসপি ও ইউএনওকে মেরে ফেলতো।”

ইউএনও পরে পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তখন গুলি ছুড়তে ছুড়তে বের হয়ে আসতে বলেন। “গুলি করা ছাড়া আমাদের আর কোনো সুযোগই ছিলো না,” বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Public medical colleges: 86 doctors, 136 students punished since August 5

Over the last two months, at least 86 physicians and 136 students in eight public medical colleges and hospitals across the country have faced different punitive actions on various allegations, including “taking a stance against” the quota reform movement.

6h ago