চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন নীতিমালা

সিনেমা নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রোডাকশনের অতিরিক্ত খরচ কমানোর জন্য শিল্পী ও কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি ও চিত্রগ্রাহক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সিনেমা নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রোডাকশনের অতিরিক্ত খরচ কমানোর জন্য শিল্পী ও কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি ও চিত্রগ্রাহক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়ম চিহ্নিত করা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি একটি আহবায়ক কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আজ দুপুরে এফডিসির জহির রায়হান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব কথা জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি ও চিত্রগ্রাহক সমিতির নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির কামাল মো. কিবরিয়া লিপু ও সদস্য আবু মুসা দেবুসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন এ খোরশেদ আলম খসরু বলেন, সিনেমা নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রোডাকশনের অতিরিক্ত খরচ কমানোর জন্য এই নীতিমালা গঠন করা হয়েছে। এটি সকল শিল্পী, পরিচালক, এমনকি প্রযোজকের জন্যও প্রয়োগ করা হবে।

প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, এই কমিটিতে কামাল মো. কিবরিয়াকে আহবায়ক করে ১০ জনের একটি সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে আছেন, আবদুল লতিফ বাচ্চু, বদিউল আলম খোকন, আবু মুসা দেবু, মো. ইকবাল, সোহানুর রহমান সোহান, এ জে রানা, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, রশিদুল আমিন হলি, শাহীন সুমন, কবিরুল ইসলাম রানা।

নীতিমালার মধ্যে আছে-সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুটিং সময় নির্ধারণ, কোনো শিল্পী  অথবা  কুশলী যদি সময় মত না আসেন,তার জন্য সময় মত শুটিং যদি  শুরু  করতে দেরি হয়, তার দায় বা ক্ষতিপূরণ তাকেই বহন করতে হবে। সেই সঙ্গে শিল্পী ও কুশলীদের প্রযোজকের সঙ্গে অবশ্যই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রথম কিস্তিতে ২৫ ভাগ, এরপর কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে ৭৫ ভাগ অর্থাৎ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা উল্লেখ থাকবে।

একই সঙ্গে এক লাখ টাকার ওপর যাদের সম্মানী, তারা যাতায়াত খরচ পাবেন না। এছাড়া আউটডোরে অবস্থান করার সময় সহকারী পরিচালক ও সহকারী চিত্রগ্রাহকরা যাতায়াতের অর্ধেক হাত খরচ বাবদ পাবেন। এছাড়া পোশাক বানানোর জন্য কোনো শিল্পী টাকা পাবেন না। গল্প অনুযায়ী শিল্পীকে প্রডাকশন হাউজ থেকে পোশাক তৈরি করে দেওয়া হবে।

সিনেমার প্রমোশনের জন্য ওই সিনেমার প্রধান শিল্পীদেরকে সিনেমাটি মুক্তির আগে পাঁচ দিন শিডিউল দেওয়াসহ আরও কিছু বিষয় থাকছে নীতিমালায়।

এইসব নীতিমালা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি-না তার জন্য থাকবে একটি মনিটরিং কমিটি ।

Comments

The Daily Star  | English
Worker unrest in Bangladesh

Owners threaten to shut garment factories from tomorrow if unrest continues

The garment factory owners today decided to shut down their production units from tomorrow under “no work no pay” policy for an indefinite period if the labour unrest continues further

53m ago