দিবালার জোড়া গোলে জিতল জুভেন্টাস
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জুভেন্টাস। কিন্তু প্রথমার্ধে ধারার বিপরীতে উল্টো এক গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে দলটি। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল আদায় করে নিতে পারছিল না তারা। এরপর পাওলো দিবালার দুই মিনিটের জাদু। দারুণ দুটি গোল করে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন এ আর্জেন্টাইন তরুণ। তাতে রাশিয়ার দল লোকোমোটিভ মস্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।
তবে এদিন খেলা গোছাতে মিনিট ১৫ সময় লেগে যায় জুভেন্টাসের। বলার মতো প্রথম সুযোগটা পায় ১৬তম মিনিটে। তবে রোনালদোর দূরপাল্লার শটে জোর না থাকায় তা ধরতে কোন সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক গুইহেরমে। চার মিনিট পর দিনের সেরা সুযোগটি মিস করেন রোনালদো। ডান প্রান্ত থেকে পাওলো দিবালার ক্রস থেকে একবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। প্রয়োজন ছিল একটি টোকার। কিন্তু তা করতে গিয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন তিনি। বল চলে যায় তার পোষ্টের অনেক উপর দিয়ে।
২২তম মিনিটে রোনালদোর আরো একটি শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন গোলরক্ষক। ২৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে পেতে পারতো জুভেন্টাস। মিরালেম পিয়ানেজের দারুণ এক ক্রসে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ মিলে অধিনায়ক লিওনার্দো বনুচ্চির। কিন্তু ঠিকভাবে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে নষ্ট হয় সে সুযোগ।
পাল্টা আক্রমণ থেকে পরের মিনিটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। আলেক্সি মিরানচুকের পাস থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন হোয়াও মারিও। তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক বয়েচেক সেজনি। কিন্তু আলগা বল পেয়ে যান মিরানচুক। এবার তার জোরালো শট ফেরানোর কোন সুযোগই ছিল না সেজনির। পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।
বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো জুভেন্টাস। পিয়ানিজের দারুণ থ্রু বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন দিবালা। কিন্তু কিন্তু তার শট চলে যাবার পোষ্টের উপর দিয়ে গেলে নষ্ট হয় সে সুযোগ। ৭৪তম মিনিটেও সমতায় ফিরতে পারতো দলটি। অ্যালেক্স সান্দ্রোর বাড়ানো বল ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় গঞ্জালো হিগুয়েন। কিন্তু অল্পের জন্য তা বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হতাশা বারে স্বাগতিক দলটির।
৭৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় জুভেন্টাস। হুয়ান কুয়াদ্রাদোর বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন দিবালা। দুই মিনিট পর ফের দিবালার গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সান্দ্রোর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান মস্কো গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে যান দিবালা। আর তা থেকে গোল আদায় করে নিতে কোন ভুল করেননি এ আর্জেন্টাইন।
এরপরও সুযোগ পেয়ে ছিল দুই দল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি রোনালদো। কিন্তু তাতে সমস্যা হয়নি দলটির। ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
Comments