কর্ণফুলীতে ২ জাহাজের সংঘর্ষ, ছড়িয়ে পড়া তেলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের শঙ্কা

কর্ণফুলী নদীতে লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে তেলবাহী জাহাজের তলা ফুটো হয়ে ছড়িয়ে পড়া তেলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ তেল নদী থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
karnaphuli-2.jpg
কর্ণফুলী নদী থেকে তেল তুলে নেওয়ার কাজ চলছে। ছবি: ইউএনবি

কর্ণফুলী নদীতে লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে তেলবাহী জাহাজের তলা ফুটো হয়ে ছড়িয়ে পড়া তেলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ তেল নদী থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

আজ (২৬ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত নদী থেকে পানিসহ প্রায় ৮ হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় লাইটার জাহাজ ‘সিটি ৩৮’ ও তেলবাহী ট্যাংকার ‘দেশ-১’ এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি নৌযান নদী থেকে পানি মিশ্রিত তেল সংগ্রহ শুরু করে।

পরিবেশ অধিদপ্তরকে দেওয়া এক চিঠিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘দেশ-১’ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি তেল নিয়ে খুলনায় যাচ্ছিলো। রাত ২টার দিকে মাঝনদীতে ‘সিটি ৩৮’ এর ধাক্কায় জাহাজটি ফুটো হয়ে যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে তেল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়ে কর্ণফুলী চ্যানেল ও জলজ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।

বন্দরের বর্জ্য পরিষ্কারক জাহাজ বে-ক্লিনার ১ ও ২, স্কিমার ১ ও ২ এবং ট্যাগ কাণ্ডারি ৮, ১০ ও ১১ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত তেল সংগ্রহ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

এ ঘটনার তদন্ত করে জাহাজ দুটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই জাহাজ দুটির মাস্টারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজ দুটিকেও আটক করে রাখা হয়েছে।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই পরিবেশ ও নদী দূষণের কথা বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা জ্বালানি তেল তুলে নেওয়ার কাজ শুরু করেছি। আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দুই জাহাজের মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও আদায় করা হবে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago