কর্ণফুলীতে ভাসছে তেল

কর্ণফুলী নদীতে লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে তেলবাহী জাহাজের তলা ফুটো হয়ে ছড়িয়ে পড়া তেল মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছে অভিযোগ এনে পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
spilled_oil_cleaned-1.jpg
দুটি জাহাজের সংঘর্ষে কর্ণফুলী নদীতে প্রায় ১২০০ টন ডিজেল ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

কর্ণফুলী নদীতে লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে তেলবাহী জাহাজের তলা ফুটো হয়ে ছড়িয়ে পড়া তেল মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছে অভিযোগ এনে পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এতে অভিযুক্ত লাইটার জাহাজ ‘সিটি-৩৮’ ও তেলবাহী জাহাজ ‘দেশ-১’ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে আটক জাহাজ দুটির মালিক ও সারেংদের (মাস্টার) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারবেটর ক্যাপ্টেন মো. ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক জানান, কর্ণফুলী নদীতে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতির বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ার পর দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ দুটির মালিক পক্ষকে আজ (২৭ অক্টোবর) পরিবেশ আদালতে হাজির হতে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকার মাঝ নদীতে লাইটার জাহাজ ‘সিটি-৩৮’ ও তেলবাহী জাহাজ ‘দেশ-১’ এর সংঘর্ষ ঘটে। এতে তেলবাহী জাহাজ ‘দেশ-১’ এর তলা ফেটে গিয়ে প্রায় ১২০০ টন ডিজেল কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়। এতে কর্ণফুলী চ্যানেল ও জলজ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পরিবেশ ও নদী দূষণের কথা বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা নদীতে নিঃসরিত জ্বালানি তেল ৮০ ভাগ তুলে নেওয়ার কাজ শেষ করেছি। আর দুর্ঘটনাটির জন্য দায়ী ওই দুটি জাহাজের মালিকের কাছ থেকে এর জন্য ক্ষতিপূরণও আদায় করা হবে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব জাহাজ বে ক্লিনার-১ ও ২, কাণ্ডারি ১০ ও ১১ এবং দুটি লেবার বোট নদীর থেকে পানি মিশ্রিত পড়ে যাওয়া তেল সংগ্রহ করেছে। গতকাল পর্যন্ত এ দলটি নদী থেকে পানিসহ প্রায় ৮ হাজার লিটার তেল তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago