কোনো দলের না শিল্পী সমিতির রাজনীতি করি: মিশা সওদাগর

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মিডিয়ায় আমার অবস্থান ছিল একেবারে শূন্যের কোঠায়। কিন্তু যারা ভোট দিবে সেই শিল্পীরা আমার পক্ষেই ছিলেন। নির্বাচনে তারা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এখন আবার বিষয়টা উল্টো হয়ে গেছে।
মিশা সওদাগর, ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। ২২৭ ভোট পেয়ে চিত্র নায়িকা মৌসুমীকে হারিয়েছেন। নির্বাচনের পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আগামী পরিকল্পনা এবং সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

ডেইলি স্টার: শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে পরে কী কী পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন?

মিশা সওদাগর: শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মিডিয়ায় আমার অবস্থান ছিল একেবারে শূন্যের কোঠায়। কিন্তু যারা ভোট দিবে সেই শিল্পীরা আমার পক্ষেই ছিলেন। নির্বাচনে তারা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এখন আবার বিষয়টা উল্টো হয়ে গেছে। শিল্পীদের জন্য ছিলাম এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।

ডেইলি স্টার: সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই ছবি নিয়ে আপনার অবস্থান জানতে চাই?

মিশা সওদাগর: বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সরকার প্রধানদের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে। কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমার যে ছবিটা ভাইরাল হয়েছে সেটা এডিট করা। এটা আমার ছবি না। আমি কোনো রাজনীতি করি না। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। আমার কাজ অভিনয় করা, অভিনয় আমার পেশা। আমি শিল্পী সমিতির রাজনীতি করি। শিল্পীদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। সবার প্রিয় একজন মানুষ হয়ে সবার প্রিয় থাকতে চাই। আমাকে যেন কোনো রাজনীতিতে না জড়ানো হয়।

ডেইলি স্টার: গত দুই বছরে শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে কী কী করেছিলেন?

মিশা সওদাগর: গত দুই বছরে শিল্পীদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। তাদের সমস্যা দেখেছি। আমাদের বাংলা সিনেমার স্বার্থে সবখানে গেছি। আন্দোলন করেছি। সিনেমার জন্য এমন কিছু নাই যেটা করিনি। সেই কারণে শিল্পীরা আমাকে প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে।

ডেইলি স্টার: শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে আগামীতে কী করতে চান?

মিশা সওদাগর: অনেক কিছুর পরিকল্পনা আছে। সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করব। যাদের ভোট বাতিল হয়েছে এবার তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করব। আবার যেন তারা ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করব। সিনেমার সব ধরেনের সংগঠনের সঙ্গে বসে সিনেমার উন্নতির জন্য কাজ করব। এই সমিতিতে অনেক বছর ধরে আছি। ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English
Digital Health Cards are to be introduced soon in Bangladesh hospitals.

Government plans digital health cards for all citizens

The government has taken an initiative to introduce digital health cards for all citizens, in a bid to eradicate the need of preserving physical prescription and test files by creating a unified digital database.

2h ago