রানের দেখা পেলেন কেবল মাহমুদউল্লাহই
ভারত সফরকে সামনে রেখে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। হুট করে জাতীয় লিগে খেলতে থাকা খেলোয়াড়দের ডেকে এনে তাদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও তাতে খুব একটা সুফল মেলেনি। প্রথম ম্যাচে বিশাল হার দেখেন লাল দলের ব্যানারে খেলতে নামা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর এদিন জয় মিললেও তা পেতে ঘাম ছুটে যায়। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ ব্যাটিং করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ম্যাচের পর সোমবার (২৮ অক্টোবর) দ্বিতীয় ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় এদিন দলের নেতৃত্ব দেন সৌম্য সরকার। টস জিতে ব্যাট করতে নামে তার দল। তবে সবুজ দলের বিপক্ষে শুরুতে সুবিধা করে উঠতে পারেনি তারা। ১৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে তারা। এরপর চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ।
দারুণ ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামত করেছেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ৫১ বলে খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস। ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে লাল দল। ২৭ বলে ২৮ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। সবুজ দলের পক্ষে ৩১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সবুজ দলেরও। দলীয় ১৮ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ম্যাচ তখন সবুজ দলের দিকে হেলে পড়েছিল। এক পর্যায়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১০৭ রান।
কিন্তু ইমরুল বিদায় নেওয়ার ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরে ইয়াসির আলী রাব্বি ছাড়া সবুজ দলের আর কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট ১৩০ রান করতে পেরেছে দলটি। ফলে ১১ রানের স্বস্তির জয় পেয়েছে লাল দল।
২৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক শান্ত। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। শেষ দিকে ইয়াসির করেন ২২ রান। লাল দলের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আফিফ, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু হায়দার রনি।
Comments