বাংলাদেশে দুর্নীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান: প্রধানমন্ত্রী

সরকার পতন ঘটাতে বিএনপির আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নিষ্কণ্টক করবার জন্য বাংলাদেশে দুর্নীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলো। এটা শুরু করেছিলো জিয়াউর রহমান।”
২৯ অক্টোবর ২০১৯, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সরকার পতন ঘটাতে বিএনপির আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নিষ্কণ্টক করবার জন্য বাংলাদেশে দুর্নীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলো। এটা শুরু করেছিলো জিয়াউর রহমান।”

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ (২৯ অক্টোবর) বিকাল চারটায় শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “যে দলের (বিএনপি) কথা বলছেন তারা কী করবে? তারাতো দুর্নীতির খনি। এদেশের দুর্নীতির যাত্রা শুরুইতো… যখন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে একাধারে সেনাপ্রধান তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে যে ক্ষমতা দখল করেছে, ঐ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নিষ্কণ্টক করবার জন্য বাংলাদেশে দুর্নীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলো। এটা শুরু করেছিলো জিয়াউর রহমান। আর তার হাতে গড়া দল।”

“সেই দলের নেতা যিনি (খালেদা জিয়া) তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি- কারাগারে। আরেকজন যাকে ভারপ্রাপ্ত করলো তিনিও দুর্নীতিগ্রস্ত- সেই দায়ে, মামলায় দেশান্তর। তাদের মুখে আবার এতো কথা আসে কোথা থেকে?”- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘কারচুপির’ বিষয়ে ১৪ দলের জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো জন্যে বিএনপির আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার (রাশেদ খান মেনন) নির্বাচিত হওয়াটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।”

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি (মেনন) ভুলে গেছেন যে… তিনিও নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছেন।… সেটা তিনি বুঝে বলেছেন, না কী, না বুঝে বলেছেন তা আমি জানি না।”

“আমি ছোটবেলা থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম। আমার বাবাকে আমি দেখেছি- কীভাবে তিনি সাহসের সাথে রাজনীতি করে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই, ভয় এই শব্দটি আমার নেই।… ছোটবেলা থেকেই নেই। ভয় পাওয়ার লোক আমি না,” যোগ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের একজন নেতা (রাশেদ খান মেনন) বলে ফেলেছেন… তার মনে একটা দুঃখ হতেই পারে কারণ, তিনি জেনে হোক বা অজান্তেই হোক- যেভাবেই হোক এক ক্লাবে তাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে এলাকার এমপি হিসেবে। স্বাভাবিকভাবে যখন কিছু তথ্য এসেছে তিনি কিছু কথা বলেছেন। তিনি ভুলে গেছেন যে… তিনিও নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছেন। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার নির্বাচিত হওয়াটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সেটা তিনি বুঝে বলেছেন না কী না বুঝে বলেছেন তা আমি জানি না।”

“এই (২০১৮ সালের) নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেকভাবে অনেক কথা বলতে চেষ্টা করেছে। আমার এখানে একটাই প্রশ্ন- জনগণ যদি ভোটই না দিতো আর জনসমর্থন যদি আমাদের পক্ষে নাই থাকতো তাহলে যেভাবে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী) খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন ইলেকশন করেছিলো, যার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি, জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলো। তারাও সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতো, তারাতো সেটাও পারেনি,” মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন:

সাকিব ভুল করেছে এবং বুঝতে পেরেছে, বিসিবি তার সাথে আছে: প্রধানমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

27m ago