সাকিবকে ছাড়া খেলতে হবে ভাবতেই পারছেন না মুশফিক
বয়সের পার্থক্যটা খুব সামান্য কিছু দিনের। এক সঙ্গে বেড়ে ওঠা। খেলেছেন সেই বয়সভিত্তিক দল থেকে। দুই জন খুব ভালো বন্ধুও বটে। কিন্তু দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, কারণ জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে না জানানো, ফলে এখন আগামী এক বছর সাকিবকে ছাড়াই পথ চলতে হবে বন্ধু মুশফিকুর রহিমকে। আর এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের খবরের সূত্র ধরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, বড় নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন সাকিব। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তখনো কিছুই জানায়নি আইসিসি। সিদ্ধান্ত আসে সন্ধ্যার পর। তাতে অবাক ক্রিকেটভক্তরা। কমপক্ষে এক বছর মাঠে আর দেখা যাবে না সাকিবকে। এমনটা মানতে পারছেন না কেউই। স্বাভাবিকভাবেই মানতে পারছেন না তার দীর্ঘদিনের সতীর্থরাও।
সাকিবের সঙ্গে খেলার শুরুর সময়ের কথা মনে করে মুশফিক তাই এদিন এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। লিখেছেন, ‘বয়সভিত্তিক দল... আন্তর্জাতিক... ১৮ বছরের বেশি সময় এক সঙ্গে খেলেছি... খুবই খারাপ লাগছে মাঠে তোমাকে ছাড়া খেলতে হবে ভেবে। আশা করছি, তুমি চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠে ফিরবে। তোমার প্রতি আমার এবং সমগ্র বাংলাদেশের সবসময়ই সমর্থন রয়েছে। শক্ত থাকো। ইনশাআল্লাহ...’
আইসিসির তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সাল থেকেই সাকিবের সঙ্গে ভারতীয় জুয়াড়ি দিপক আগরওয়ালের যোগাযোগ শুরু হয়। তিনটি ম্যাচের আগে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু তার কোনোবারই আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে কিছু জানাননি তিনি। তার খেসারত দিচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পড়েছেন দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তবে শর্তসাপেক্ষে এক বছর আগেই মুক্তি পাওয়ার রাস্তা রয়েছে তার।
আর আইসিসির দেওয়া সাজা মেনে নিয়েছেন সাকিব। এদিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি, ‘যে খেলাকে সবচেয়ে ভালোবাসি, সেখান থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে আমি খুবই দুঃখিত। তবে অনৈতিক প্রস্তাবের ব্যাপারটি আইসিসি ও আকুকে (দুর্নীতি দমন ইউনিট) না জানানোয় যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আকসু সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে ক্রিকেটারদের ওপর। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব আমি পুরোপুরি পালন করতে পারিনি।’
Comments