মা ইলিশ শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযানকালে নৌপুলিশের ওপর হামলা
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযানকালে নৌপুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জেলেকে আটক করা হয়।
আজ (৩০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে শিবালয়ের আলোকদিয়া চর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ বলেন, “ভোর ৬টার দিকে পাটুরিয়া নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে যমুনা নদীর আলোকদিয়া চর এলাকায় অভিযান শুরু করে।”
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে তিনটি নৌকা থেকে সাত জেলেকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এক ঘণ্টা অভিযানের পর একটি মাছধরার নৌকা আটকের চেষ্টা করা হলে ওই নৌকার জেলেরা লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।
পুলিশ সদস্যরা হামলা উপেক্ষা করে তাদেরকে আটকের চেষ্টা করলে আশে-পাশে থাকা আরও কয়েকটি মাছধরার নৌকা এসে পুলিশদের বহনকারী স্পিডবোট ঘিরে ফেলে। নিরাপত্তার কথা ভেবে, পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে কিছুটা সরে আসতে বাধ্য হয়।
নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ আরেফ বলেন, “তিনি খবর পেয়ে দ্রুত আরিচা ঘাট এলাকায় যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।” এই হামলায় কেউ তেমন আঘাত পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মা ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিন নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছেন।
হামলা প্রসঙ্গে, তিনি বলেন, “নৌপুলিশের জনবল সংকট এবং দ্রুতগামী নৌযানসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে জেলেরা এই হামলা করার সাহস পেয়েছে।”
তিনি বলেন, আটক জেলেদের উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিবালয় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন বলেন, “ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক চার জেলেকে ৫ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অন্য তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
Comments