আমার জীবনে আফসোস বলে কোনো শব্দ নেই: মৌসুমী
মৌসুমীকে বলা হয় প্রিয়দর্শিনী নায়িকা। কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই কোটি মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেন। তারপর চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে কেবলই সফলতার গল্প। প্রচুর হিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিসেফ এর শুভেচ্ছাদূতও তিনি। দ্য ডেইলি স্টারের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মৌসুমী।
প্রথমবারের মতো শিল্পী সমিতির সভাপতি প্রার্থী হয়ে হেরে যাওয়ার পর আপনার দিক থেকে সমিতিকে কোনো সহযোগিতা করার ইচ্ছে আছে কি? অথবা চেষ্টা অব্যাহত থাকবে কি?
তারা ডাকলে আমার দিক থেকে সমিতির জন্য সহযোগিতা সব সময়ই থাকবে। আমি তো শিল্পী। কেনো সহযোগিতা করবো না? যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের জন্য শুভকামনা। আমি তো নির্বাচিত কেউ না, তারপরও তারা চাইলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো। শিল্পী হয়ে শিল্পীদের পাশে অবশ্যই থাকবো।
ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেক শিল্পী কাজ করে থাকেন অন্য শিল্পীদের জন্য, সেই হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে শিল্পীদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আছে কি আপনার?
ওটা আমি সব সময়ই করে আসছি। কিন্তু তা নিয়ে কখনও প্রচার করি না, প্রচার চাইও না। আমি জানি আমার অঙ্গনের কারা কেমন আছে। এতো বছর ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছি, কাজেই না জানার কথা নয়। সামনেও তাদের জন্য করবো, তবে তা সামনে আনতে চাই না। আমার মতো করে যাবো।
চলচ্চিত্র সমাজের সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচন বলতে গেলে আপনাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন, এতো বড় একটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কোনো আফসোস কাজ করছে আপনার মধ্যে?
না। আফসোস বলে কিছু নেই। আমি কখনোই কোনো কিছু নিয়ে আফসোস করি না। চিন্তাও করি না। যা হবে উপরওয়ালার দিক থেকে হবে। উপরওয়ালা সব কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন। একটা নির্বাচন করেছিলাম, পাশ করলে একরকম হতো, না হলে আরেকরকম। এটা হলো না, ওটা হলো না, এইরকম কখনও আমার বেলায় নেই। তাই আবারও বলছি, আমার জীবনে আফসোস বলে কোনো শব্দ নেই।
মৌসুমী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নিয়ে নতুন কোনো সংবাদ কি ভক্তদের দিতে পারেন?
এটা নিয়ে তো কাজ করছিই। সামাজিক কিছু কাজ এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করা হয়। মাঝখানে একটু কম হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সামনে নতুন বছর থেকে নতুন করে কিছু কাজ করবো। কিন্তু কয়েকদিন আগে ঠিক করেছি এই বছরের শেষ মাস থেকে কিছু কাজ করবো। এটি নিয়েও বড় একটা স্বপ্ন আছে আমার।
কয়েকদিন আগে পারিবারিকভাবে সুন্দর একটি দিন কাটালেন, কেমন কাটলো?
ঠিকই বলেছেন। আমার মেয়ের জন্মদিন ছিলো। সেটি পারিবারিকভাবে উদযাপন করি আমরা। খুব আনন্দে কেটেছে দিনটি। আমি অনেক খুশি ছিলাম সারাদিন। নির্বাচনের পর সামান্য মনখারাপ থাকলেও মেয়ের জন্মদিনে আবারও নতুন করে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করি। সবকিছু ভুলে যাই।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, মৌসুমী নির্বাচন করেছিলেন বলেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনটা এতোটা আলোচিত হয়েছে, আপনার বক্তব্য কি?
ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই অত্যন্ত ভালোমানুষ। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। তিনি যা বলেছেন সত্যি কথাই বলেছেন। এটা তো সবাই জেনে গেছেন নির্বাচনটি একটি উৎসবের মধ্যে দিয়ে হয়েছে।
নতুন একটি চলচ্চিত্র করছেন, শুটিং কতদূর সম্পন্ন হয়েছে?
একটি নতুন চলচ্চিত্র করছি। চলচ্চিত্রটির নাম অর্জন ৭১। মুক্তিযুদ্ধের গল্পের একটি সিনেমা। আমার চরিত্রের নাম ফিরোজা। একজন পুলিশ অফিসারের বউ আমি। আমার স্বামী ৭১ সালে শহীদ হন। টানা কয়েকদিন শুটিং করেছি। এখনও শুটিং শেষ হয়নি।
৩ নভেম্বর আপনার জন্মদিন, বিশেষ দিনটি নিয়ে পরিকল্পনা?
দিনটি পারিবারিকভাবেই কাটাবো। কিছু পরিকল্পনা আছে তা আমার স্বামী ওমর সানীকে নিয়ে একসঙ্গে বসে করবো। শুধু এটুকু বলবো- দিনটি নিজেদের মতো করে কাটাবো।
Comments