সাকিবের অনুপস্থিতির ইতিবাচক দিক দেখছেন জোনস

shakib al hasan
সাকিব আল হাসান। ছবি: আইসিসি

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসর বসতে আর এক বছরও বাকি নেই। তার আগের প্রতিটি সিরিজই দলগুলোর জন্য প্রস্তুতি পর্ব। বিশ্বকাপের জন্য সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করা যেমন জরুরি, তেমনিভাবে জরুরি অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখে দলের কম্বিনেশন ঠিক করে নেওয়া। তাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব আল হাসানের না থাকাকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ডিন জোনস।

গেল ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাস্তির প্রথম বছরে আইসিসির বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো মেনে চললে পরের বছর আর সাজা ভোগ করতে হবে না তাকে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।

২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম পর্বে বাংলাদেশ পাবে না সাকিবকে। তবে দ্বিতীয় পর্বে উঠতে পারলে কয়েকটি ম্যাচের খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। সেসব অবশ্য অনেক পরের কথা। জোনস মনে করছেন, সাকিবের অনুপস্থিতির সময়টা বাংলাদেশকে দলীয় কম্বিনেশন ঠিক করে নেওয়ার ওপর জোর দিতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ আগামী এক বছরে সাকিবের অনুপস্থিতির কিছু ইতিবাচক দিকও দেখছেন এক সময় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগাং কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা এই সাবেক ক্রিকেটার।

dean jones
ডিন জোনস। ছবি: এএফপি

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোনস বলেছেন, ‘আমি জানি বিপিএলের সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে। একই সঙ্গে সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে প্রস্তুত থাকবে। তাকে পাওয়া যাবে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ তার কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার পালা। (দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে) নির্বাচকদের ভালো পরিকল্পনা করতে হবে।’

সাকিবকে ছাড়া দলের পথচলা শুরু হচ্ছে আসছে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। সেখানে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের অভিজ্ঞদের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা রয়েছে এই অজির, ‘আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে আরও উপরের দিকে ব্যাটিং করতে দেখতে চাই। (ব্যাটিং লাইনআপের) উপরের দিকে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস আত্মবিশ্বাস পেতে শুরু করেছে। মোস্তাফিজ আগের মতোই ফিট আছে।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের শূন্যস্থান অপূরণীয়। একই সঙ্গে ব্যাটে-বলে সমান কার্যকর- এমন খেলোয়াড় গোটা ক্রিকেটবিশ্বেই দুর্লভ। তিনি না থাকায় দলের তরুণদের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ দেখছেন জোনস, ‘মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন ও আমিনুল ইসলামরা সুযোগ পাচ্ছে সাকিবের শূন্যস্থান পূরণের।... বাংলাদেশ যদি টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারে, তাহলে সেই আত্মবিশ্বাস টেস্টে টেনে নিয়ে যেতে পারবে তারা।’

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

4h ago