পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দিল ছাত্রলীগ
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে অধ্যক্ষ তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটানো হয়। অধ্যক্ষ সাঁতরে পাড়ে উঠে নিজের প্রাণ রক্ষা করেন।
অধ্যক্ষকে টেনে আনা থেকে শুরু করে পুকুর থেকে তার উঠে আসা পর্যন্ত পুরো ঘটনাটি ইনস্টিটিউটের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এর জন্য অধ্যক্ষ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, তাদের অন্যায় দাবি না মানায় দলবল নিয়ে এসে তিনি এই কাজ করেছেন। এদের মধ্যে অন্তত দুজনের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।
কার্যালয়ে অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে না পারলে তিনি ডুবে মারাও যেতে পারতেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত ১০ জন তরুণ অধ্যক্ষকে দ্রুতগতিতে পুকুরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ তার হাত ধরে টানছিলেন, আবার কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। এরপর অনেকটা দৌড়ে গিয়ে তাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এর পর স্বচ্ছন্দে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনার ব্যাপারে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, “ছাত্রলীগের ছেলেদের অন্যায় দাবি না মানায় তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুজন ছাত্রকে ডিসকলেজিয়েট করা হয়। ফলে তারা পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেনি। এ কারণেও তারা ক্ষুব্ধ হয়।
“দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় সৌরভ আমার পথ আটকে কথা বলতে চায়। আমি কথা বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়।”
এই ঘটনায় অধ্যক্ষ ৫৭ জনকে আসামি করে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সাত জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
Comments