ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে সমতা টানল নিউজিল্যান্ড
ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। পরের দায়িত্বটা সারেন দলটির বোলাররা। সেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। ফলে লক্ষ্য তাড়ায় বেশ দূরে থামতে হয় ইংল্যান্ডকে।
ওয়েলিংটনে রবিবার (৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ২১ রানে জিতেছে কিউইরা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা টেনেছে স্বাগতিক দলটি।
ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইংল্যান্ড ১ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৫৫ রানে।
নিউজিল্যান্ডকে এদিন ভালো শুরু পাইয়ে দেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তিনি খেলেন ২৮ বলে ৪১ রানের আগ্রাসী ইনিংস। মারেন ৩ চার ও ২ ছয়। মিডল অর্ডারে দুটি কার্যকর ইনিংস খেলেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম ও রস টেইলর। গ্র্যান্ডহোম ১২ বলে ২৮ ও টেইলর ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন। শেষ দিকে ঝড় তোলেন জিমি নিশাম। ২ চার ও ৪ ছয়ে ২২ বলে ৪২ রান করে ইনিংসের শেষ বলে ক্রিস জর্ডানের শিকার হন তিনি। এই ইংলিশ পেস অলরাউন্ডার ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পান স্যাম কারান।
ইংল্যান্ড বিপদে পড়ে শুরুতেই। দলীয় ৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো ও আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক জেমস ভিন্স। অধিনায়ক ইয়ন মরগান তেড়েফুঁড়ে মারতে থাকলেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। সমান ৩টি করে চার ও ছয়ে ১৭ বলে ৩২ রান করা এই বাঁহাতিকে বিদায় করেন স্যান্টনার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে থাকা ওপেনার ডাভিড মালান ২৯ বলে ৩৯ রান করে ফিরলে দলীয় ৯৩ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয় ইংল্যান্ডের।
এরপরও সফরকারীদের লড়াইয়ে রেখেছিল জর্ডান। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দারুণ নৈপুণ্য দেখান তিনি। তাকে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন স্যান্টনার। জর্ডান ১৯ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩৬ রান করেন। ম্যাচসেরা স্যান্টনার ৩ উইকেট দখল করেন ২৫ রানে। ২টি করে উইকেট নেন দলনেতা টিম সাউদি, লোকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি।
আগামী মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নেলসনে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।
Comments