সেই ভুল থেকে শিখে এমন জয়
খেলা তখনো শেষ হয়নি। হার্দিক পান্ডিয়াকে চার মেরেই উদযাপন শুরু করে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। জিততে দরকার ৩ বলে ২ রান। জিতবেনই, এমনটা ধরে নিয়েই হয়ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ। কিন্তু ওই পরিস্থিতি থেকেও হেরে যায় বাংলাদেশ। ছক্কা মেরে খেলে শেষ করার নেশায় পর পর আত্মাহুতি দেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ দুজনেই।
তিন বছর পর ভারতেরই আরেকটা মাঠে প্রবল এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এবার সমীকরণ ছিল আরও কঠিন। ৩ ওভারে নিতে হতো ৩৫। একের পর এক বাউন্ডারিতে টপাটপ তা তুলে নেন এই দুজনই। ম্যাচ জেতার পর উদযাপনেও থাকে পরিমিতিবোধ।
৪৩ বলে ৬০ রান করে ম্যাচ জয়ের নায়ক মুশফিক মনে করিয়ে দিলেন, ব্যাঙ্গালুরুর সেই সাংঘাতিক ভুল তাদের শিখিয়ে করেছে পোক্ত, ‘মানুষ ভুল করতেই পারে। তবে সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়াটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ওই ম্যাচের পর থেকে আমি কিছু ম্যাচে দলকে জিতিয়েছিও। সেগুলো আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কি করেছি আর কি করা উচিত ছিল সেই অভিজ্ঞতাটাও হয়েছে। ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে আমি আর রিয়াদ ভাই কথা বলেছিলাম। আমরা পরিষ্কার ছিলাম যে কি করতে হবে। এবার আমরা ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি। এটা ছিল আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার।’
কোনভাবেই যাতে এবার আর ভুল না হয়, বারবার নিজের সঙ্গে সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন মুশফিক, ‘আমি নিজের সাথে কথা বলছিলাম। ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানই কেবল জানে ঠিক কি হচ্ছে। ডাগআউটের কেউ কিংবা পরের ব্যাটসম্যানও বুঝতে পারবে না। আমি নিজের সঙ্গেই কথা বলছিলাম। সৌম্যর সঙ্গেও কথা বলেছি। ১৯তম ওভার পর্যন্ত থেকেও যদি হারি তো হারলাম।’
Comments