ভারত এবার ড্রোন দিয়ে সীমান্ত নজরদারি করবে

চোরাচালান রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারি রেখেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

চোরাচালান রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারি রেখেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে গতকাল (৪ নভেম্বর) বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জল, স্থল ও আকাশ নজরদারির মধ্যে রেখেছে বিএসএফ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ধুবড়ি থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্ত নিচ্ছিদ্র রাখতে ইসরাইল থেকে ‘টেথারড’ ড্রোন কেনা হয়েছে। প্রতিটি ড্রোনের দাম ৩৭ লাখ রুপি উল্লেখ করা হলেও ঠিক কতো সংখ্যক ড্রোন কেনা হয়েছে তা বলা হয়নি।

এসব ড্রোন দিয়ে দিনে-রাতে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারি করা যাবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের পাঁচটি রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১১৯ দশমিক ১ কিলোমিটার নদী ও জলাভূমি।

পশ্চিম আসামের ধুবড়ির ৬১ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদ থাকায় সেই এলাকা বর্ষাকালে নজরদারিতে রাখা ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের জন্যে দুঃসাধ্য হয়ে উঠে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসএফের গোয়াহাটি সীমান্তের মহাপরিদর্শক পিয়ূষ মোরিদা দ্য হিন্দুকে বলেন, “সাধারণত চোরাচালান হয় রাতের বেলায় খোলা জায়গা দিয়ে। সেসময় সীমান্ত পাহারায় রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। প্রায় ১৫০ মিটার উঁচু থেকে ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি করলে আমাদের শারীরিক কষ্ট কমে যাবে।”

সাধারণ ড্রোন থেকে ‘টেথারড’ ড্রোনের পার্থক্য হলো, এই বিশেষ ড্রোনগুলো প্রবল বাতাসের মধ্যেও কাজ করতে পারে। ব্রহ্মপুত্রে খোলা এলাকায় বাতাসের প্রবল বেগ থাকায় এই বিশেষ ড্রোনগুলো কেনা হয়েছে। এগুলো ব্রহ্মপুত্র অঞ্চলে দিনে-রাতে চোরাকারবারি ও মানব-পাচারকারীদের সহজে চিহ্নিত করতে পারবে।

“নদীর যেসব জায়গায় আমাদের রক্ষীরা যেতে পারে না, সেসব জায়গায় জন-চলাচলের ছবিও এসব ড্রোনের মাধ্যমে আমাদের হাতে আসবে,” যোগ করেন বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago