সেই গেঙ্কের বিপক্ষে লিভারপুলের কষ্টার্জিত জয়
৪৮ ঘণ্টা আগেই একটি ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। রোববার আবার ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলা। তাই ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল গেঙ্কের বিপক্ষে দলের বেশ কিছু সেরা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছিল দলটি। তবে কষ্টার্জিত হলেও প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে দলটি। ২-১ গোলের জয়ে 'ই' গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অথচ গেঙ্কের মাঠ থেকেই প্রথম লেগে ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে ফিরেছিল ইয়র্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
অ্যানফিল্ডে এদিন সাদিও মানে, রোবার্তো ফিরমিনো, অ্যান্ডি রবার্টসনদের মতো তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখেন কোচ ক্লপ। সেরা তারকাদের ছাড়াও আধিপত্য বিস্তার করেই খেলতে থাকে লিভারপুল। অন্যদিকে নিজেদের রক্ষণ সামলে পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে গেঙ্ক। তবে গোল করার মতো বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। ফরোয়ার্ডের ব্যর্থতায় তা থেকে সুবিধা আদায় করতে পারেনি দলটি। অন্যথায় বড় জয় পেতে পারতো চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন অবশ্য বড় জয়ের আভাসই দিচ্ছিল অলরেডরা। শুরু থেকেই গেঙ্ককে চেপে ধরে তারা। গোল আদায় করে নিতেও খুব বেশি সময় নেয়নি। ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জেমস মিলনারের আড়াআড়ি ক্রস এক ডিফেন্ডার ঠিকভাবে ফেরাতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান জর্জিনিও উইনালদাম। আলতো টোকায় বল জালে জড়ান দারুণ ছন্দে থাকা এ মিডফিল্ডার।
বিরতির আগেই ম্যাচে সমতা আনে সফরকারী দলটি। ৪১তম মিনিটে ব্রায়ান হেইনারের কর্নার কিক থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাওয়ানা সামাত্তা। তবে বিরতির কিছুক্ষণ পরই ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। ৫৩তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে দারুণ এক পাস দেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। বল ধরে দারুণ জালে জড়ান অ্যালেক্স চেম্বারলেইন। আসরে এটা তার চতুর্থ গোল।
এগিয়ে যাওয়ার পরও আক্রমণের ধারা ধরে রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। কিন্তু গোল আদায় করে নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে দলটি।
এই গ্রুপের অপর ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে নাপোলি ও সলজবার্গ।
Comments