‘কারো জন্য কেউ অপেক্ষা করে না’
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এমনিতেই কঠিন ভারত সফর সাকিববিহীন বাংলাদেশ খড়কুটোর মতো উড়ে যায় কিনা, ছিল সে শঙ্কাও। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও সবাইকে তাক লাগিয়ে ভারতকে হারিয়েই সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নিজেদের পাইপলাইনের তারিফ করে এমন পরিস্থিতি সামলানোর তৃপ্তির কথা জানালেন।
দিল্লিতে ভারতকে ৭ উইকেট হারিয়ে আসা বাংলাদেশ দলের একাদশে ছিল তরুণের ছড়াছড়ি। আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের মতো নতুনরা চিনিয়েছেন সামর্থ্য, রেখেছেন অবদান। পরবর্তী প্রজন্মের আগামী বার্তাও বেজেছে।
সাকিব ছাড়াই বাংলাদেশের এমন নৈপুণ্যে নিজেদের ক্রিকেটের ভিত মজবুতের বার্তা মনে করছেন প্রধান নির্বাচক, ‘কারো জন্য কেউ অপেক্ষা করে না। যে যখন সুযোগ পায় তখন ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।’
‘আয়ারল্যান্ডে সাকিব কিন্তু ফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারেনি। এখন এটা মাথায় নেয়া উচিত না যে কে খেলছে না বা কে খেলছে। যেদিন যে প্ল্যাটফর্মটা পাবে, ওটা যেন কাজে লাগায়।’
সাকিব নেই, তামিম নেই তবু তরুণরা এসেই পরিণত মেজাজ দেখাতে পারছেন। প্রধান নির্বাচক মনে করেন তাদের পরিকল্পিত কাঠামোই এর কারণ, ‘গত তিন মাসে আমাদের এইচপি এবং 'এ' দল প্রচুর ম্যাচ খেলেছে, জাতীয় দলের মতো। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কীভাবে খেলতে হবে ওরা কিন্তু সেখান থেকে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে নেবে। এই কারণে বিপ্লব, নাঈম- ওদের দেখে মনে হয়নি যে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ওরা দূরে আছে।’
আগামী দিনের তারকাদের মঞ্চটা ছেড়ে দেওয়ার সুর বাজলো অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও, ‘আমাদের তরুণদের সুযোগ করে দিতে হবে। যাতে তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারে। যাদের কথা হচ্ছে তারা এরমধ্যেই নিজেদের প্রমাণ করেছে। আমাদের পাইপলাইনে আরও খেলোয়াড় আছে। আশা করি সবাই মিলেই ভাল কিছু কাল দেখাতে পারব।’
Comments