চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে বায়ার্ন-পিএসজি
২০১৯-২০ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপাধারী বায়ার্ন মিউনিখ। গ্রুপ পর্বের বাধা ডিঙিয়ে তাদের সঙ্গী হয়েছে ফরাসি লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইও (পিএসজি)।
বুধবার রাতে ‘বি’ গ্রুপে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন। ‘এ’ গ্রুপে বেলজিয়ামের দল ক্লাব ব্রুসের বিপক্ষে নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি।
প্রথমার্ধে অলিম্পিয়াকোসের গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও সফলতা পায়নি বাভারিয়ানরা। বিরতির পর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৬৯তম মিনিটে সফলতা পায় দলটি। কিংসলে কোমানের ক্রস ধরে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। চলতি মৌসুমে বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জালের দেখা পেলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। সবমিলিয়ে তার গোল সংখ্যা হলো ২০টি। ৮৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ইভান পেরিসিচ। মাঠে নামার মিনিটখানেকের মধ্যে আলগা বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড।
চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে বায়ার্ন। তাদের অর্জন ১২ পয়েন্ট। গ্রুপের আরেক ম্যাচে সার্বিয়ার রেড স্টার বেলগ্রেডের মাঠে ৪-০ গোলে জয় পাওয়া ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
আগের দেখায় ব্রুসকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এদিন পেয়েছে কষ্টার্জিত জয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচের ২১তম মিনিটে কলিন দাগবার বাড়ানো পাস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে পৌঁছায় ফাঁকায় দাঁড়ানো মাউরো ইকার্দির কাছে। মাত্র ছয় গজ দূর থেকে সহজেই বল জালে পাঠান এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি তার চতুর্থ গোল। ৭৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ব্রুস। কিন্তু ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলা পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস পেনাল্টি রুখে দিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন। তিনি ফিরিয়ে দেন এমবায়ে দিয়ানিয়ের স্পট-কিক।
চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে আছে পিএসজি। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তুরস্কের গালাতাসারাইকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
Comments