জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভারতীয় নাগরিকের নাম

২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য শিল্পী ও কলাকুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেছে সরকার। মোট ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
mohammad kalam
মো. কালাম। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য শিল্পী ও কলাকুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেছে সরকার। মোট ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পুরস্কারের তালিকায় ২০১৭ সালের সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও একই ক্যাটাগরিতে ২০১৮ সালের পুরস্কার পেয়েছে ‘পুত্র’।

কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার হলো এই তালিকায় একজন ভারতীয় নাগরিকের নামও রয়েছে যা জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার মানদণ্ডের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির কলাকুশলীদের মধ্যে মো. কালাম শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে পুরস্কৃত হচ্ছেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদন আহ্বান করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল শুধুমাত্র বাংলাদেশিরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামূল কবীরের স্বাক্ষর ছিল তাতে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুরি সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কোনো বিদেশি নাগরিক পেতে পারেন না।” জুরি হিসেবে তিনি নিজেই ছিলেন জানানোর পর বলেন, জুরিরা কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন না। এই কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য লোক রয়েছেন।

আর যে চলচ্চিত্রে কাজের জন্য মো. কালামের নাম পুরস্কারের তালিকায় এসেছে সেই ঢাকা অ্যাটাক ছবির পরিচালক দীপংকর দীপনের দাবি, এরকম শর্ত থাকার কথা তার জানা ছিল না। তিনি বলেন, “আমি কাগজপত্র জমা দেইনি। প্রযোজক কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে তিনিই বলতে পারবেন।”

জানতে চাইলে ছবিটির প্রযোজক সানী সানোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “মন্ত্রণালয়ের ঠিক করা নীতিমালা অনুযায়ীই আমরা কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। যার কথা বলা হচ্ছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট অথবা পরিচয়পত্র না থাকায় তার নাম আমরা জমা দেইনি।” জুরি বোর্ডের কাছে তার কাজ হয়ত ভালো লেগেছিল তাই পুরস্কারে নাম আসতে পারে, মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, “এটা ভুল হয়ে থাকতে পারে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুল সংশোধন করবেন।”

ভারতে বসবাসকারী কালাম বাংলাদেশের বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। টেলিফোনে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রথমত, আমি বাঙালি। তাই যেকোনো স্বীকৃতিই আমাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করে। আমি খুশি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কোনো বিদেশিকে দেওয়া যাবে না এমন বিধান থেকে থাকলে আমি মনে করি চলচ্চিত্রের স্বার্থেই সেই বাধা তুলে দেওয়া উচিত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago