মালান-মরগানের রেকর্ড, পাত্তা পেল না নিউজিল্যান্ড

morgan and malan
মরগান ও মালান (ডানে)। ছবি: আইসিসি টুইটার

ডাভিড মালান ও ইয়ন মরগান করলেন বিধ্বংসী ব্যাটিং। বইয়ে দিলেন চার-ছয়ের বন্যা। তাতে গড়া হলো একগাদা রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের দেখা পেল ইংল্যান্ড। সেই রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে পেরে উঠল না নিউজিল্যান্ড। তারা স্বাদ নিল বড় হারের।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নেপিয়ারে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৭৬ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে এটাই ইংলিশদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। ফলে সিরিজে এসেছে ২-২ ব্যবধানে সমতা। আগামী রবিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অকল্যান্ডে মুখোমুখি হবে দুদল।

ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ঝড় তোলেন মালান ও মরগান। আগ্রাসন চালান নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন অধিনায়ক মরগান। ২১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে তিনি ভাঙেন জস বাটলারের রেকর্ড (২২ বলে)। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৯১ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল সমান ৭টি করে চার ও ছয়।

malan
ডাভিড মালান। ছবি: এএফপি

দেশের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নেন মালান। ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পর ৪৮ বলে শততম রানের দেখা পান মাত্র নবম ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। আগে এই কীর্তি ছিল কেবল অ্যালেক্স হেলসের (৬০ বলে)। ৯ চার ও ৬ ছক্কা মেরে মালান অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ১০৩ রানে।

তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৭৬ বলে ১৮২ রানের জুটি গড়েন মালান-মরগান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। ওপেনিং জুটি বাদ দিয়ে বিবেচনা করলে, এটি সর্বকালের সেরা জুটি। ইংল্যান্ডের পক্ষে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও এটি। দুই বাঁহাতির কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪১ রান তোলে ইংল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৩০ রান করেছিল তারা। এদিন শেষ ৪ ওভার থেকেই ৭৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড, যা টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড। শেষ ১০ ওভার থেকে তারা নিয়েছে ১৫৩ রান, যা যৌথভাবে সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ।

parkinson
পার্কিনসন। ছবি: আইসিসি টুইটার

আকাশছোঁয়া লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডেরও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৩ ওভারে আসে ৫৪ রান। কিন্তু ১৪ বলে ২৭ রান করে মার্টিন গাপটিল বিদায় নিলে পা হড়কায় তারা। শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল।

আরেক ওপেনার কলিন মুনরোও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ২১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ফলে ৩৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে দলনেতা টিম সাউদি ২ চার ও ৪ ছয়ে ১৫ বলে ৩৯ রান করে কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পারেন।

১৭ বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেন ম্যাট পার্কিনসন। ৪ ওভারে দেন ৪৭ রান। তবে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে তিনিই দলটির সবচেয়ে সফল বোলার। অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন মালান।

Comments

The Daily Star  | English

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

8m ago