তবু একই বোলিং আক্রমণে ভরসা বাংলাদেশ কোচের

russell domingo
রাসেল ডমিঙ্গো। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিল্লিতে যে বোলিং আক্রমণ নিয়ে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ, রাজকোটে সেই একই লাইনআপে ছিল না কোনো ধার। শুরু থেকে দেদার রান বিলিয়ে ২৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে তবে কি ঢেলে সাজানো হবে বোলিং আক্রমণ? বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ‘না’ বোধক জবাব দিয়ে বলেছেন, প্রথম দুই ম্যাচে খেলা বোলারদের ওপর ভরসা আছে তার।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটির ভেন্যু নাগপুর। ১-১ ব্যবধানে সমতা থাকায় ম্যাচটি এখন অঘোষিত ‘ফাইনাল’।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। দুই অফ স্পিনার আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে ওভার করে যথাক্রমে ১৩ ও ২১ রান দিয়েছিলেন। তাদের বেহাল দশার চিত্র দেখে স্কোয়াডে থাকা দুজন বাঁহাতি স্পিনার- তাইজুল ইসলাম ও আরাফাত সানির দিকে বাংলাদেশ হাত বাড়াবে কিনা, ম্যাচের আগের দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় ডমিঙ্গোর কাছে।

জবাবে এই দক্ষিণ আফ্রিকান বলেছেন, একাদশে হুটহাট পরিবর্তন আনতে নারাজ তিনি, ‘ভারতের (ব্যাটিং অর্ডারের) উপরের দিকের ছয় জনের মধ্যে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সংখ্যা বেশি। এক ম্যাচ আগেই তাদের বিপক্ষে আমাদের অফ স্পিনাররা (আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন) ভালো বল করেছে। কিন্তু আগের ম্যাচে তা কাজে লাগেনি দেখে সবকিছু বদলে ফেলার কোনো মানে হয় না। আমরা এমন কোনো দল হতে চাই না যারা হারার পর অসচেতনভাবে তড়িঘড়ি করে প্রতিক্রিয়া দেখায়।’

রাজকোটে হতাশ করেন বাংলাদেশের তিন পেসার। আল-আমিন হোসেনের বোলিং ফিগারটা তাও বলার মতো, মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম ছিলেন খুব খরুচে। তবে দলের গতি তারকাদের এমন পারফরম্যান্স নিয়েও চিন্তিত হন ডমিঙ্গো, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো বল করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো উইকেটে (ব্যাটিং-বান্ধব) একজন ভালো খেলোয়াড়ের (রোহিত) বিপক্ষে ভেজা বলে (শিশিরের কারণে) বোলিং করতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। তাই পেস বোলিং নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই।’

কোনো বোলার এক ম্যাচে খারাপ খেললেই তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন কাউকে একাদশে নিতে হবে, এই নীতিতে চলতে চান না ডমিঙ্গো। বরং শিষ্যদের সামর্থ্যের ওপর নিজের অগাধ আস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা একদল খেলোয়াড়কে সমর্থন যুগিয়ে যেতে চাই। কেউ একটা ম্যাচ খারাপ খেলেছে বলে সে আগামী ছয় মাস খেলবে না তা হতে পারে না। এটা টি-টোয়েন্টি খেলার অংশ। আমরা বিশ্বাস করি যে যারা প্রথম দুই ম্যাচ খেলেছে তারা যথেষ্ট ভালো। কেউ একজন আমাদের বিপক্ষে খুবই ভালো খেলেছে বলে কৌশলগত অনেক পরিবর্তন করতে হবে, বিষয়টা এমন না।’

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago