ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও সুপার ওভারে বুক ভাঙল কিউইদের

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে যেন ফিরে এসেছিল লর্ডস! ফরম্যাট ভিন্ন হলেও বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই নির্ধারিত ওভারে টাই হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তবে সুপার ওভারে এবার আর টাই না হলেও ফের বুক ভেঙেছে নিউজিল্যান্ডের। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে তারা।
england and new zealand
ছবি: ইংল্যান্ড ক্রিকেট টুইটার

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে যেন ফিরে এসেছিল লর্ডস! ফরম্যাট ভিন্ন হলেও বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই নির্ধারিত ওভারে টাই হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তবে সুপার ওভারে এবার আর টাই না হলেও ফের বুক ভেঙেছে নিউজিল্যান্ডের। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে তারা।

রবিবার (১০ নভেম্বর) অঘোষিত ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সুপার ওভারে কিউইদের ৯ রানে হারিয়েছে ইংলিশরা। ফলে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।

বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১১ ওভারে। সেখানে দেখা মেলে চার-ছক্কার বৃষ্টির। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে ইংল্যান্ডও ৭ উইকেট হারিয়ে ঠিক ১৪৬ রান করে। এরপর সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে তারা করে ১৭ রান, নিউজিল্যান্ড ৮ রানের বেশি নিতে পারেনি।

এদিন দুদল মিলে বল উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করে মোট ২৭ বার! নিউজিল্যান্ড ছয় হাঁকায় ১৪টি, ইংল্যান্ডের ইনিংসে ছয় ছিল ১৩টি। তবে অনেক আলোর ভিড়ে নিজের রঙটা আলাদা করে চেনান ক্রিস জর্ডান। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে নিশ্চিত হার থেকে সঠিক পথে ফেরান এই অলরাউন্ডার, এরপর সুপার ওভারে বল হাতে নিশ্চিত করেন স্মরণীয় জয়।

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানোর ম্যাচে শেষ তিন বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৩ রান। তখন উইকেটে আসেন জর্ডান। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ছয়, এরপর ডাবল আর শেষটিতে মারেন চার। ফল, ম্যাচ টাই! সুপার ওভারেও তার ওপর রাখা আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দেন জর্ডান। প্রথম দুই বলে ৭ রান হজম করলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। তৃতীয় বলে ফেরান টম সেইফার্টকে এবং শেষ তিন বলে খরচ করেন মোটে ১ রান।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে এগিয়েছিল নিউজিল্যান্ডই। তবে সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। শেষ দুটি ম্যাচে টানা জিতে বিশ্বকাপের পর আরও একবার বিজয়ীর হাসি হেসেছে ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ১১ ওভারে ১৪৬/৫ (গাপটিল ৫০, মুনরো ৪৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৬, সেইফার্ট ৩৯, নিশাম ১*, টেইলর ৩; স্যাম কারান ১/৩৩, টম কারান ১/৩০, জর্ডান ০/২৮, রশিদ ১/৩৪, সাকিব ১/২০)

ইংল্যান্ড: ১১ ওভারে ১৪৬/৭ (ব্যান্টন ৭, বেয়ারস্টো ৪৭, ভিন্স ১, মরগান ১৭, স্যাম কারান ২৪, বিলিংস ১১*, গ্রেগরি ৬, টম কারান ১২, জর্ডান ১২*; বোল্ট ২/৩৫, সাউদি ১/২২, স্যান্টনার ২/২০, কাগেলেইন ০/২০, সোধি ০/২২, নিশাম ২/২৫)।

ফল: ম্যাচ টাই, সুপার ওভারে ইংল্যান্ড জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: জনি বেয়ারস্টো।

ম্যান অব দা সিরিজ: মিচেল স্যান্টনার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago