ঘূর্ণিঝড়ে ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। এ সময় চার থেকে ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই পর্যন্ত হতাহতের খবর খুব বেশি পাওয়া যায়নি। আমরা অফিসিয়ালি ২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আর ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। চার থেকে ৫ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এটাই ছিল আমাদের ক্ষয়ক্ষতির খবর।”
আজ (১০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখনও বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। তবে সেটা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাওয়ায় আজ বিকেলের মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর কালকে (সোমবার) আমরা একটা রৌদ্রোজ্জ্বল দিন পাবো বলে আশা করছি।”
বুলবুল দুর্বল হয়ে যাওয়ায় উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর মহাবিপৎসংকেত ১০ থেকে ৩ নম্বরে নামানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সচিব শাহ কামাল, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এনামুর রহমান বলেন, “ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে আমরা সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলাম। ৫ হাজার ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জনকে আমরা সফলভাবে সরিয়ে নিতে পেরেছি। নিরাপত্তা দিতে পেরেছি।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গত ৫ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে রূপান্তরিত হয়। এরপর ৮ নভেম্বর ৪ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেওয়া হয়। ৯ নভেম্বর সকাল ৬টায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়া হয়। এরপর আমরা ঝড়ের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেছি। এটা ৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে ৮৮ দশমিক ১ দ্রাঘিমাংশ এবং ২১ দশমিক ৩ অক্ষাংশ বরাবর আসার সময় পশ্চিম বাংলায় আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।”
তিনি বলেন, “ঝড়টি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন দিয়ে প্রবেশ করে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এখনও এটা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে। বিকেল নাগাদ এটি শেষ হয়ে যাবে। এখন বুলবুলের বাতাসের গড় গতিবেগ ৪০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, এটা আসলে খুবই কম। সিডর-আইলায় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ২২০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার। যার ফলে এবার ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।”
Comments