৩৪ রানে শেষ ৮ উইকেট হারানোর কি ব্যাখ্যা?
ম্যাচ জিততে ৪৩ বলে দরকার ছিল ৬৫ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। অর্থাৎ মুখে তুলে দেওয়া খাবার, কেবল গেলাটাই বাকি। সেটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য ধসে আর ৩৪ রান তুললেই অলআউট হয়ে ৩০ রানে হার। এমন ম্যাচও কেন জিততে পারল না দল। দারুণ এক সুযোগ এভাবে হাতছাড়া কেন হলো? অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দিতে পারলেন না কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা।
১২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর বিপর্যস্ত অবস্থায় জুটি বাধেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ আর মোহাম্মদ মিঠুন। তৃতীয় উইকেটে তারা ৬১ বলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। এ সময় আগ্রাসী নাঈমের ব্যাটে রান তাড়ায় এক সময় সমীকরণ হয়ে যায় সহজ, ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।
কিন্তু দলের ১১০ রানে মিঠুনের আউটে এই জুটি ভাঙার পর শুরু হয় উইকেট পতনের স্রোত। তা আর আটকানোই যায়নি। জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়েছে একাধিকবার। একা নাঈম ৪৮ বলে করেন ৮১ রান। বাকি ১০ জন মিলে করেছেন ৬৩ রান। এরমধ্যে মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ২৭ রান। মিঠুন আর নাঈম ছাড়া আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
নাঈমের এনে দেওয়া ভিত পেয়ে অধিনায়ক নিজেও শেষটা করে আসতে পারেননি। তারও মনে হচ্ছে পুরো ম্যাচের ভুল-ত্রুটি সরিয়ে রেখেও শেষের কয়েক ওভারেই ম্যাচটা খুইয়েছেন তারা, ‘আমরা জেতার কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু ৬-৭ বলের মধ্যে ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমার মনে হয় এটাই ক্রুসিয়াল পার্ট। এরকম ভুল না হওয়ার দিকে সতর্ক থাকতে হবে আগামীতে।’
এমন ধসে অনেকবারই পড়ে আক্ষেপ বাড়ে বাংলাদেশের। কিন্তু এর পেছনের কারণ নিয়ে নিজের স্পষ্ট ধারণা দিতে পারলেন না অধিনায়ক। বরং ভুলের স্বীকারোক্তি করে গেলেন অকপট, ‘দৃঢ়তার ঘাটতি কিনা জানিনা। সম্প্রতি আমরা এমন ভুল আরও করেছি। এসব পরিস্থিতিতে আসলে বড় দল খেলা শেষ করে। উইকেটও ভাল ছিল, আমার মনে হয় বোলাররা দারুণ করেছে, ওদের ১৮০ এর নিচে আটকে রেখেছে। এটা আমাদেরই (ব্যাটসম্যানদের) ভুল যে শেষ করতে পারিনি।’
Comments