A Test

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে চাঁদপুরের হাইমচরে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আজ (১০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রচণ্ড এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এর ফলে গাছপালা পড়ে বিভিন্ন সড়কে যাতায়াত বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ।

হাইমচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ জিএম আমির হোসেনের নেতৃত্বে রাত আটটা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী খোরশেদ আলম জানান, বিকেলের ঝড়ে হাইমচর ইউনিয়নের মধ্যচরকোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চাল উড়ে গেছে। এছাড়া আলগী উত্তর ইউনিয়নের ছোটলক্ষীপুর গ্রামের লালু মিয়া সরদারের ছেলে নুরুল ইসলাম ও শুক্কুর সরদারের ছেলে শাহিন সরদারের বসত ঘরে গাছ পড়ে ঘর দুটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত সরকার বলেন, “আমার ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধশত বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গুচ্ছ গ্রামের ২৫টি ঘরের চাল উড়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”

নীলকমল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার বলেন, “আমার এখানে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি কাচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।”

গাজীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী বলেন, “আমার এলাকায় মৎস্য আড়তসহ ২০টি বসত ঘরের ক্ষতি হয়েছে।”

হাইমচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রশিদ বলেন, “হাইমচরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।”

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ায় শহর প্রায় টানা সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে।

বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মুকতাদির বলেন, “খবর পেয়ে আমরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর লাইন ঠিক করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করি।”

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

13h ago