ভারতীয় স্পিন সামলাতে অনুশীলনে ম্যাকেঞ্জির টোটকা
অধিনায়ক মুমিনুল হক নেটে ব্যাট করছিলেন স্পিনারদের বিপক্ষে। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি তখন উইকেটকিপারের ভূমিকায়। কয়েকটা শট শুধরে দিলেন। খানিক আগে মাহমুদউল্লাহ যখন ব্যাট করছেন, তখন আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে ম্যাকেঞ্জি। প্রতিটা শটের পরই আসছিল কোচের নির্দেশনা। সকালে এসে নেটে লম্বা সময় কাটানো মুশফিকুর রহিমকে অনুশীলনের সময় শেষ হওয়ার পরও দেখা গেল আবার নেটে, সঙ্গী ওই ম্যাকেঞ্জিই। লম্বা আলোচনার পর পর একেকটি শট। ইন্দোরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ম্যাকেঞ্জিকে পাওয়া গেল এমন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ভূমিকায়।
এমনিতে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন ম্যাকেঞ্জি। তার কোচিংয়ের ধরন বেশ পছন্দ দলের ক্রিকেটারদের। কিন্তু পারিবারিক কারণে সব সংস্করণের কোচ হতে রাজি হন না এই দক্ষিণ আফ্রিকান। এবার বিসিবির অনুরোধে ভারত সফরের প্রথম টেস্টে অবশ্য থাকতে রাজি হয়েছিলেন, তবে বিসিবি চায়, কলকাতায় গোলাপি বলের টেস্টেও দলের সঙ্গে কাজ করুন ম্যাকেঞ্জি।
কলকাতায় দিবারাত্রির ম্যাচে কাজ করবেন কিনা তা এখনো চূড়ান্ত নয়, কিন্তু ইন্দোর টেস্টে ব্যাটসম্যানরা পুরোদমে পাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জির টোটকা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) হোল্কার স্টেডিয়ামে এক নেটে পেসাররা ঝালিয়েছেন নিজেদের। আরেক নেট ছিল ম্যাকেঞ্জির দখলে। সেখানে পালা ধরে কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে স্পিন বলের তালিম দিয়েছেন তিনি।
অনুশীলন শেষে মোহাম্মদ মিঠুন জানালেন, এদিন প্রতিপক্ষের স্পিন বিষ সামলানো নিয়েই মূলত কাজ করেছেন তারা, ‘আমরা সবাই জানি, ওদের দল (ভারত) কত শক্তিশালী। বিশেষ করে, ওদের স্পিনের বিপক্ষে কীভাবে ব্যাটিং করব, সেটা নিয়ে বেশি ভাবছি। পেস বোলারদের চেয়ে ওদের স্পিনারদের সামলানো বেশি কঠিন হবে, এমনটা অনুভব করছি। কারণ, প্রথম এক-দুই দিন ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক থাকে। তৃতীয় দিন থেকে স্পিনারদের সহায়তা থাকে। সেটা কীভাবে সামলাতে পারি এর জন্য টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
Comments