মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য ১৬ প্রাণ শেষ

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে রাত দুইটা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হয়।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে রাত দুইটা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হয়।

মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ট্রেনটিকে তার স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থাকার সিগন্যাল দেয়। কিন্তু তূর্ণা ট্রেনটির চালক (লোকো মাস্টার) সিগন্যাল না মানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল।

স্থানীয়রা বলছেন, সিলেটের দিক থেকে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যদি আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে কিংবা চট্টগ্রাম থেকে আসা তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি যদি আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরে এই লাইন দিয়ে প্রবেশ করত তাহলে দুর্ঘটনা হয়ত ঘটতো না।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটার ও হোমে মেইন লাইনে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। উদয়ন ট্রেনটিকে মেইন লাইন থেকে এক নম্বর লুপ লাইনে আসার সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে উদয়ন ট্রেন এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সংকেত অমান্য করে উদয়ন ট্রেনের উপর উঠে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে স্টেশনমাস্টার ট্রেনটিকে প্রধান লাইন ছেড়ে দিয়ে এক নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেন। সংকেত পেয়ে ওই ট্রেনের চালক এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করেন। ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই অপর দিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথার চালক সিগনাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালান। এ সময় উদয়ন ট্রেনের মাঝামাঝি তিনটি বগির সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ওই ট্রেনের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago