যে চিন্তায় তিন পেসার খেলায়নি বাংলাদেশ, রাখেনি মোস্তাফিজকে

উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া। আগের দিনই উইকেট দেখে তিন পেসার খেলানোর কথা জানিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাদের সেই পেসাররাই ঝাঁজ দেখিয়ে গুটিয়ে দেন বাংলাদেশকে। বল করতে নেমে খারাপ করেননি বাংলাদেশের দুই পেসারও। পেসারদের সহায়তা আছে এমন উইকেটে কেন তিন পেসার খেলায়নি বাংলাদেশ। কেন রাখা হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানকে। দিনশেষে অধিনায়ক মুমিনুল হক দিলেন ব্যাখ্যা।

উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া। আগের দিনই উইকেট দেখে তিন পেসার খেলানোর কথা জানিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাদের সেই পেসাররাই ঝাঁজ দেখিয়ে গুটিয়ে দেন বাংলাদেশকে। বল করতে নেমে খারাপ করেননি বাংলাদেশের দুই পেসারও। পেসারদের সহায়তা আছে এমন উইকেটে কেন তিন পেসার খেলায়নি বাংলাদেশ। কেন রাখা হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানকে। দিনশেষে অধিনায়ক মুমিনুল হক দিলেন ব্যাখ্যা।

লাল মাটির শক্ত উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সাহস দেখিয়েছিলেন মুমিনুল। সকালের আর্দ্রতা আর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নেমেই বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেন ভারতের তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব আর রবীচন্দ্র অশ্বিন।

কিন্তু বাংলাদেশের একাদশে দেখা যায় পেসার হিসেবে আছেন আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন। বাকি দুই বোলার অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। অর্থাৎ চার বোলার নিয়েই খেলতে নামে বাংলাদেশ। একাদশে জায়গা দেওয়া হয় সাত ব্যাটসম্যান। এতজন ব্যাটসম্যান নিয়েও অবশ্যই মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

বল করতে নেমেও একজন পেসারে টের পাওয়া গেছে প্রচণ্ড। আবু জায়েদ রাহি দারুণ জায়গায় বল ফেলে ভারতীয় বড় ব্যাটসম্যানদেরও ধন্দে ফেলছিলেন। তুলে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মাকে। ইমরুল কায়েস স্লিপে সহজ ক্যাচ না ছাড়লে ফেরাতে পারতেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালকেও।

স্পিনার তাইজুল বল করতে আসার পর সরে যায় এই চাপ। পেসারদের সুবিধা আছে এমন উইকেটেও তাদের উপর আস্থা না রাখার ব্যাখ্যায় মুমিনুল জানালেন দলের রক্ষণশীল চিন্তারই ফল এটা,  ‘সাহস পাই না আসলে ওরকম কিছু না। আসলে আমাদের ভাণ্ডারে চারদিনের ম্যাচ খেলা ওইরকম বোলার কম সত্যি কথা বলতে। যে দুজন খেলছে তারা নিয়মিত চারদিনের ম্যাচ খেলে।  হুট করে এটা (টেস্ট খেলা)ন  কঠিন। আর আমরা বাংলাদেশ সব সময় ব্যাটিংয়ের উপর নজর দিতে একটু বেশি মনোযোগ দেই।’

‘বাংলাদেশ সব সময় বাড়তি ব্যাটসম্যান রাখে। এই কারণে তিনটা পেস বোলার খেলে না।’

মুমিনুলের ইঙ্গিত মোস্তাফিজুর রহমান আর আল-আমিনের দিকে। আগের দিন মোস্তাফিজকে হুমকি মনে করেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই মোস্তাফিজকে দেখা গেল একাদশেই রাখেনি বাংলাদেশ, মুমিনুলের ইঙ্গিত তাদের চেয়ে রাহি আর ইবাদতের উপরই আস্থা ছিল বেশি, ‘হয়ত কোহলি বলেছেন স্ট্রাগল করেন (বাঁহাতি পেসে), এটা (এমন কথা) হয়ত ট্যাকটিকস হতে পারে। আমাদের যাদের উপর বিশ্বাস ছিল তাদের রেখেছি। ’

তবে কি মোস্তাফিজে আস্থা নেই? মুমিনুলের কথা ঘুরে গেল বাড়তি ব্যাটসম্যান রাখার চিন্তায়, ‘সবার উপর বিশ্বাস আছে। আমাদের মনে হয়েছে দুইজন পেসার আর বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলালে ভাল হবে এই জন্য খেলিয়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago