সুয়ারেজকে খুন করতে চেয়েছিলেন হেন্ডারসন!
সান্ডারল্যান্ড ছেড়ে তখন সবে লিভারপুলে যোগ দেন জর্ডান হেন্ডারসন। তার ছয় মাস আগেই লিভারপুলে নাম লিখিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু ২০১০ বিশ্বকাপে দারুণ খেলে নিজের গায়ে সম্ভাব্য বড় তারকার ট্যাগ নিয়ে এসেছেন তিনি। সে তুলনায় একেবারেই অখ্যাত হেন্ডারসন। তারপরও সতীর্থ হিসেবে তার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সম্মান আশা করতেই পারেন তিনি। কিন্তু অনুশীলনে বারবারই তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছিলেন সুয়ারেজ। এক পর্যায়ে ক্ষেপে গিয়ে সুয়ারেজকে খুন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এ ইংলিশ মিডফিল্ডার।
অ্যানফিল্ডে শুরুতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে হেন্ডারসনকে। তার উপর তার ভুল গুলো এমন ভাবে ধরছিলেন সুয়ারেজ, যেন মহাভারতই অশুদ্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি জিমি কারাঘেরের দ্য গ্রেটেস্ট গেম পডকাস্টে এমনটাই বলেছেন এ ইংলিশ তারকা, 'আমি তখন সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তখন ছিলাম একেবারেই তরুণ। একটা জিনস বারবারই সুয়ারেজ করছিল যেটা আমি মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না। তার ইঙ্গিত ছিল আমি মোটেও ভালো খেলোয়াড় না।'
আর সুয়ারেজের এমন কাণ্ডে বিরক্তি ক্রমেই বাড়ছিল হেন্ডারসনের, 'সে দুই হাত উঁচিয়ে এমন করছিল যে, "সে কি করছে?" ভাবটা এমন যে আমার এখানে থাকাই উচিৎ হয়নি। এটা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। এবং আমাকে হতাশও করে দিয়েছিল। সে এটা একবার, দুইবার এমনকি তিনবার করেছে। এরপর আমি ক্ষেপে যাই। তখন আমি সুয়ারেজকে খুন করতে প্রস্তুত ছিলাম।'
মজার ব্যাপার এই সুয়ারেজই এখন হেন্ডারসনের খুব ভালো বন্ধু। এ ইংলিশ তারকা এখনও লিভারপুলে আছেন। কিন্তু সুয়ারেজ দল ছেড়েছেন সেই ২০১৪ সালে। এখনও নিয়মিত যোগাযোগ হয় তাদের মধ্যে। আসলে হেন্ডারসনকে খেপিয়ে তার সেরাটা বের করতে চেয়েছিলেন সুয়ারেজ। স্টোক সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর এটা জানতে পেরেই সুয়ারেজের প্রতি কৃতজ্ঞ হন এ ইংলিশ তারকা। তারপর থেকেই ভালো বন্ধুত্ব।
'এরপর আমাদের ম্যাচ ছিল স্টোকের বিপক্ষে। আমি ওই ম্যাচে সুয়ারেজকে একটা গোল বানিয়ে দেই। সে ম্যাচের আগেই সে লুকাসকে বলেছিল। সে আমাকে দিয়ে সেরাটা বের করে নেওয়ার জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে এমনটা করে আসছে। এটা জানার পর থেকেই সুয়ারেজ আমার কাছে অনন্য। এরপর থেকেই আমি তার খুব কাছে চলে আসি। আমরা এখনও যোগাযোগ করি' - দুই জনের বন্ধুত্বের উৎসের বর্ণনা দিয়ে এমনটাই বলেছেন হেন্ডারসন।
Comments