মুশফিকের ব্যাটে লড়াই

পেসারদের সরিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণে স্পিন নিয়ে আসার পর থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট চালাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিশেষত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন সাজিয়ে বসেছিলেন দারুণ সব শটের পসরা। কিন্তু আবারও আশা জাগিয়ে ফিরেছেন তিনি। উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। তবে ফিফটি করে মুশফিকুর রহিম চালাচ্ছেন লড়াই।
liton das
ছবি: বিসিসিআই

পেসারদের সরিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণে স্পিন নিয়ে আসার পর থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট চালাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিশেষত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন সাজিয়ে বসেছিলেন দারুণ সব শটের পসরা। কিন্তু আবারও আশা জাগিয়ে ফিরেছেন তিনি। উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। তবে ফিফটি করে মুশফিকুর রহিম চালাচ্ছেন লড়াই। 

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত  বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯১ রান। উইকেটে মুশফিক ৫৩ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৮ রানে ব্যাট করছেন।

৭২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন মুশফিক ও লিটন। এই জুটিতে পঞ্চাশ আসে মাত্র ৫১ বলে। ভারতীয় দুই স্পিনার অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা মোটেও সুবিধা করতে পারছিলেন না তাদের বিপরীতে। কিন্তু সেই পুরনো রোগ পেয়ে বসে লিটনকে। অযথা উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক মেলাতে না পেরে অশ্বিনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি।

লিটনের বিদায়ে ভেঙেছে বাংলাদেশের ৭৭ বলে ৬৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ৩৯ বলে ৬ রানে ৩৫ রান করে সাজঘরে হেঁটেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসেও ভালো শুরুর পর ৩১ বলে ২১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।

আগের দিন ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তোলার পর শনিবার (১৬ নভেম্বর) আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে সকালেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাতে বাংলাদেশ সামনে পায় কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু লড়াই তো দূরের কথা, ইনিংস হার এড়ানোর কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় তিন পেসারের গতি আর বাউন্সের বিপরীতে কোনো জবাব দিতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। দৃষ্টিকটুভাবে ফুটে উঠছে ইতিবাচক মানসিকতা ও দক্ষতার অভাব।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও উদ্বোধনী জুটি টিকেছে পাঁচ ওভার। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ইমরুল কায়েস হন বোল্ড। উইকেটটি নেন উমেশ যাদব। এরপর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও হন বোল্ড। তাকে সাজঘরে পাঠান ইশান্ত শর্মা।

কাকতালীয়ভাবে দুজনের ক্ষেত্রে উইকেট শিকারি প্রথম ইনিংসের বোলারই। আর তারা আউটও হন একই স্কোরে, ৬ রানে। ইমরুল ১৩ বলে ৬ ও সাদমান ২৪ বলে ৬ রান করেন।

১৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২০ বলে ৭ রান করে দলীয় ৩৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন তিনি। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় ভারত।

এর কিছুক্ষণ পর শামির কল্যাণে ফের উল্লাস করে ভারত। উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ না ঘটাতে পেরে শর্ট মিডে ক্যাচ দেন তিনি। দলকে মহাবিপর্যয়ে রেখে ২৬ বলে ১৮ রান করে আউট হন এই ডানহাতি।

মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের তৃতীয় উইকেটের দেখা পান ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। তবে এতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারের অবদানই বেশি! স্যুয়িং করে বেরিয়ে যাওয়া বল খোঁচা দিয়ে স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৩৫ বলে ১৫ রান করে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus holds brief meeting with Malaysian PM at Dhaka airport

Following the meeting, they boarded the same car to travel to the bilateral venue

2h ago