ভাঙল সুরের মেলা

১৬ নভেম্বর ২০১৯, তিনদিনের ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীতত উৎসব’র শেষ দিনে রাশিয়ার কারেলিয়া অঞ্চলের আলোচিত ব্যান্ড সাত্তুমার পরিবেশনা। ছবি: স্টার

‘শেকড়ের গানে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে যাক শান্তির বার্তা’- এমন প্রত্যাশা নিয়েই শেষ হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবের পঞ্চম আসর।

গত ১৪ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর শেকড়ের গানের সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠেছিলো রাজধানীর দর্শক শ্রোতা। আয়োজক প্রতিষ্ঠান সান ফাউন্ডেশন জানায়, বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি লোকশিল্পী ও কলাকুশলী এবারের আসরে অংশ নিয়েছিলেন।

গতকাল (১৬ নভেম্বর) ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট ২০১৯’র সমাপ্তি টানা হয় পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ড জুনুনের পরিবেশনা দিয়ে।

সমাপনী দিনের সূচনা পরিবেশনায় ছিলেন বাংলাদেশের কাওয়ালি গানের সাড়া জাগানো শিল্পী মালেক কাওয়াল।

কাওয়ালি ও মাইজভাণ্ডারির গানের রেশ কাটাতে মঞ্চে আসেন রাশিয়ার কারেলিয়া অঞ্চলের আলোচিত ব্যান্ড সাত্তুমা।

তাদের পরই মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের লালন-সংগীতের শিল্পী চন্দনা মজুমদার। উপস্থিত শ্রোতারা উপভোগ করেন চন্দনা মজুমদারের কণ্ঠে লালনের গান। ‘জগত মুক্তিতে ভোলালেন সাঁই’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’, ‘সেকি চেনে মানুষ রতন’ ও ‘যাও পাখি বলো তারে’ পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন এই শিল্পী।

উৎসবের শেষ পরিবেশনা ছিলো পাকিস্তানের সুফি ঘরানার ব্যান্ড জুনুনের। ১৯৯৭ চতুর্থ অ্যালবাম ‘আজাদি’র ‘সাইওনি’ দিয়ে উপমহাদেশের শ্রোতাদের মন জয় করে নেয় ব্যান্ডটি। ব্যান্ডের লিড ভোকাল আলী আজমত ঢাকার মঞ্চে বাংলার লোকসংগীত সাধকদের সঙ্গে পারফর্ম করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা শোনায় বলিউডি সিনেমা ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-র ‘তু হি হ্যায়’ গানটি। এরপর শোনায় ‘ইয়ে দিল হ্যায় তোমহারা’। দুটি গানের পর তারা শোনায় তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘সাইওনি’ গানটি। পপ ধারার সঙ্গে ফিউশনে তারা শোনান পাকিস্তানের সুফি সাধক বুল্লে শাহ’র ‘দামা দাম মাস্তকালান্দার’, ‘মিট্টি মে মিল, ও ‘ইনকিলাব’ অ্যালবামের ‘মেরা মাহি’ আর ‘চালে সাথ’ গানগুলি।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

47m ago