র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগোলেন আবু জায়েদ
ভারতের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত ইন্দোর টেস্টে কেবল এক ইনিংসেই বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহি। হল্কার স্টেডিয়ামে ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে নজর কেড়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের এই ডানহাতি পেসার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ১০৮ রানের বিনিময়ে। এমন বোলিং নৈপুণ্যের কল্যাণে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সবশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে টেস্ট বোলারদের মধ্যে ৬২তম স্থানে আছেন আবু জায়েদ। ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনে রোহিত শর্মাকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় দিনে তিনি সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা, ভারত দলনেতা বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানেকে।
বাংলাদেশের ইনিংস ও ১৩০ রানের হারে দুর্দান্ত ছিলেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রান দিয়ে তিনি দখল করেছিলেন ৪ উইকেট। দলের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে এই গতি তারকা এগিয়েছেন আট ধাপ। ঢুকে গেছেন সেরা দশে, আছেন সপ্তম স্থানে। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৯০। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রেটিং পয়েন্ট পাওয়ার কীর্তি আছে আর কেবল দুজন ভারতীয় পেসারের। তারা হলেন- কপিল দেব (৮৭৭) ও জাসপ্রীত বুমরাহ (৮৩২)।
ইন্দোরে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মায়াঙ্ক আগারওয়াল উঠে এসেছেন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের ১১তম স্থানে। মাত্র আট টেস্ট খেলা এই ওপেনারের রান মোট ৮৫৮ ও বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৬৯১। ক্যারিয়ারের প্রথম আট টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান করার কীর্তি আছে সবমিলিয়ে মাত্র সাত জনের। তারা হলেন- ডন ব্রাডম্যান (১২১০), এভারটন উইকস (৯৬৮), সুনীল গাভাস্কার (৯৩৮), মার্ক টেইলর (৯০৬), জর্জ হ্যাডলি (৯০৪), ফ্রাঙ্ক ওরেল (৮৯০) ও হার্বার্ট সাটক্লিফ (৮৭২)।
পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৩০তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। তিনি ভারতের বিপক্ষে যথাক্রমে ৪৩ ও ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ৯২তম স্থান থেকে ছয় ধাপ এগিয়ে ৮৬ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন দাস।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে কোনো পরিবর্তন নেই। শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। দুইয়ে থাকা কোহলি ইন্দোর টেস্টের একমাত্র ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তৃতীয় স্থানটি নিউজিল্যান্ডের দলনেতা কেন উইলিয়ামসনের দখলে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে জায়গাটা ধরে রেখেছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স।
Comments