৮ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট
নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে গেছে আট জেলার পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আনুষ্ঠানিকভাবে ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গতকাল রোববার থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর প্রতিবাদে উত্তর ও দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও রাজশাহীতে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে যশোরে গতকাল থেকেই কোনো বাস চলাচল করছে না।
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে কুষ্টিয়া থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও ঢাকার সঙ্গে চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুবুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ি, খুলনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার দিকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।
ওই পরিবহন নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ বাস চালক ও হেলপারের লাইসেন্স নেই। ফলে তারা বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মতো বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
তবে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে তারা এই আইন প্রয়োগে প্রস্তুত রয়েছেন।
খুলনার পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাওয়ায় বিভাগীয় এই শহর থেকেও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নতুন আইনের বিভিন্ন ধারায় সংশোধন দাবি করে সকল অপরাধে জামিনের বিধান রাখার দাবি তুলেছেন তারা।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।
রাজশাহী থেকে জেলার ভেতরের বিভিন্ন গন্তব্যে ও নওগাঁর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কিছু শ্রমিক ধর্মঘটে গেছেন। অনেকেই আবার ধর্মঘটে নেই। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
Comments